বুড়িগঙ্গাসহ অন্যান্য নদী রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, বুড়িগঙ্গা নদী ইতোমধ্যে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে হলে নদীর চারপাশে সুয়ারেজ লাইনগুলোকে বন্ধ করতে হবে। সুয়ারেজ লাইনের পানিগুলোকে সঠিক ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসতে পর্যাপ্ত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের খোলামোড়া ঘাটে পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচারাভিযান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তারা। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও বুড়িগঙ্গা নদী মোর্চা আয়োজিত কর্মসূচিতে নিরাপদ ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সচেতন নাগরিক সমাজ সংগঠন, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, নিরাপদ চিকিৎসা চাই, বনলতা নারী উন্নয়ন সংস্থা এবং শিশুদের মুক্তবায়ু সেবন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কর্মসূচির মধ্যে ছিলো নাগরিক সমাবেশ, মুকাভিনয়, নৌ-রালী এবং লিফলেট, টি-শার্ট ও ছাতা বিতরণ।
নাগরিক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র বলেন, যারা এই নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন তাদের কাছে পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা বেশ কিছু সুপারিশ করেছিলাম। নতুন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের পরিকল্পনায় বেশকিছু সুপারিশ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ওই সকল সুপারিশ বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে রিভার বাংলার সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, নির্বাচনের পর নতুন সরকার ইতোমধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের পূর্বে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইসতেহারে জলবায়ু, নদী ও পরিবেশ সংশ্লিষ্ট যেসকল কর্মসূচির উল্লেখ করেছিলো তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। নদী দখলদার ও পরিবেশ ধ্বংশের সাথে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের প্রকল্প কর্মকর্তা সৈয়দ তাপসের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, সচেতন নাগরিক সমাজ সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর আদেল, বনলতা নারী উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ইশরাত জাহান লতা, নিরাপদ চিকিৎসা চাই-এর সাধারণ সম্পাদক উম্মে সালমা, শিশুদের মুক্তবায়ু সেবন সংস্থার সদস্য মো. সেলিম প্রমূখ।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :