AB Bank
  • ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

২০২৪ সালে বায়ু দূষণের শীর্ষে বাংলাদেশ ও চাদ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৬:৫২ পিএম, ১১ মার্চ, ২০২৫
২০২৪ সালে বায়ু দূষণের শীর্ষে বাংলাদেশ ও চাদ

২০২৪ সালে বায়ু দূষণের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও আফ্রিকার চাদের নাম উঠে এসেছে। বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর এই দুই দেশের বাতাসে দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মানের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি ছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্বের মাত্র ৭টি দেশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিত মানদণ্ড ধরে রাখতে পেড়েছে। দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, বাহামাস, বার্বাডোস, গ্রেনাডা, এস্তোনিয়া এবং আইসল্যান্ড।

গবেষকরা বলছেন, আমেরিকা সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ায় বায়ু দূষণের বিরুদ্ধে চলমান লড়াই আরও কঠিন হয়ে যাবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বায়ু মানের তথ্য নিয়ে, বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকায়, অস্পষ্টতা আছে। উন্নয়নশীল অনেক দেশ নিজেদের বায়ু দূষণের তথ্য পেতে মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেট ভবনে স্থাপিত বায়ু মান পর্যবেক্ষণ সেন্সরের তথ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিল।

অবশ্য আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাজেট স্বল্পতার কথা জানিয়ে সম্প্রতি এই কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। গত বছর বায়ুমান পর্যবেক্ষণে আমেরিকার সরকারি ওয়েবসাইট থেকে গত ১৭ বছরের সব তথ্য মুছে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চাদের তথ্যও ছিল।

তবে বাজেট সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে সরকারি বায়ু মান পর্যবেক্ষণ ওয়েবসাইট থেকে ১৭ বছরের বেশি সময়ের তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে, যার মধ্যে চাদের তথ্যও ছিল।

আইকিউএয়ারের ব্যবস্থাপক ক্রিস্টি চেস্টার-শ্রোয়েডার বলেন, ‘বেশিরভাগ দেশেরই বিকল্প তথ্যসূত্র আছে। তবে এটি আফ্রিকায় ব্যাপক প্রভাবে ফেলবে। কারণ বায়ু মান পর্যবেক্ষণের এটিই ছিল তথ্যের একমাত্র উৎস।’

তথ্যের সীমাবদ্ধতার জন্য ২০২৩ সালে চাদকে এই তালিকার বাহিরে রাখা হয়েছিল। অবশ্য দেশটি ২০২২ সালে সবচেয়ে দূষিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়। সে সময় বলা হয়েছিল, সাহারার ধুলো এবং অনিয়ন্ত্রিত ফসল পোড়ানো দূষণের প্রধান কারণ।

গত বছর চাদের বাতাসে ক্ষুদ্র ও বিপজ্জনক পার্টিকেল বা পিএম২.৫–এর গড় মাত্রা ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৯১ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম। এই মাত্রা ২০২২ সালের তুলনায় কিছুটা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, পিএম২.৫-এর বার্ষিক গড় মাত্রা ঘনমিটার প্রতি ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। অবশ্য বিশ্বের মাত্র ১৭ শতাংশ শহর এই মানদণ্ড ধরে রাখতে পেরেছে।  

দূষণের শীর্ষ দেশের তালিকায় ভারত, পাকিস্তান ও কঙ্গোর নামও এসেছে। তালিকার পঞ্চমে থাকা ভারতে পিএম২.৫-এর গড় মাত্রা আগের বছরের চেয়ে ৭ শতাংশ কমে হয়েছে ৫০ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার। এরপরেও বিশ্বজুড়ে দূষিত ২০টি শহরের ১২টির অবস্থানই ভারতে। এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিল্পসমৃদ্ধ শহর বিরনিহাট। গত বছর শহরটিতে পিএম২.৫-এর গড় মাত্রা ছিল ঘনমিটার প্রতি ১২৮ মাইক্রোগ্রাম।

আইকিউএয়ারের চেস্টার-শ্রোয়েডার সতর্ক করে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় ভয়াবহ এবং দীর্ঘস্থায়ী দাবানল দেখা দিচ্ছে। এতে বায়ু দূষণ আরও তীব্র হচ্ছে।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিন এয়ার প্রকল্পের পরিচালক ক্রিস্টা হসেনকফ বলেন, ‘আমেরিকা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় অন্তত ৩৪টি দেশ দূষণ সম্পর্কিত নির্ভরযোগ্য তথ্য পাবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর যেসব শহরে বায়ু মান পর্যবেক্ষণ করত সে শহরগুলোতে মানুষের সম্ভাব্য আয়ু বেড়েছে। এতে তাদের কূটনীতিকদের ঝুঁকিভাতার বরাদ্দও কমেছে। এর অর্থ হচ্ছে, আমেরিকা নিজেদের স্বার্থেই এই কাজটি করত। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়া বিশ্বের জন্যই একটি বড় ধাক্কা।’ 

 

একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস

Link copied!