নিজের ৭০ বছর বয়সের প্রায় অর্ধেকটা সময় কাটিয়েছে ছাতার গবেষণায়। আবার কেউ কেউ ডাকে ছাতার কারিগর। এক জায়গাতেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসে সেবা দেন তিনি। মানুষ ছাতার সমাধান না পেলে অর্থাৎ ছাতা বিকল হলে দূর দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন তার কাছে; বলছিলাম ফরিদ চাচার কথা। তার হাতের জাদুতে মুগ্ধ সেবা নিতে আসা মানুষ।
গ্রীষ্ম কিংবা শীতে চাচার তেমন কদর না থাকলেও বর্ষাকালে বেশ জনপ্রিয় তিনি। নামীদামী মানুষেরাও ছাতা ঠিক করাতে অনুরোধ করেন তাকে। যেমন ছাতাই দেন না কেন? ঠিক করে দেবেন তিনি। ছোট বড় সব ছাতা ঠিক করাই যে ফরিদ চাচার পেশা। ছাতার কাপড় থেকে শুরু করে শিক, আংটা সব-ই ঠিক করতে পারেন তিনি। মোট কথা নষ্ট একটা ছাতা দিলে ঠিকঠাক করে একেবারে নতুন করে দেবেন।
এসব ছাতা ঠিক করতে ফরিদ চাচার সময় লাগে ৫ থেকে ১০ মিনিট, কখনোবা আবার ৩০ মিনিট। ছাতার শিক কিংবা কাপড় মেরামত করতে খরচ একটু বাড়তি হলেও টুকটাক কাজে ১০ থেকে ২০ টাকা নেন তিনি৷ প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে তার কাছে কারণ স্থায়ী মার্কেট ছাড়া গোটা চট্টগ্রামে একমাত্র বারো মাসেই ছাতা মেরামত করেন তিনি।
চট্টগ্রাম নগরীর চৌমুহনী কর্ণফুলী মার্কেটে ভাসমান ফরিদ চাচার এই দোকান। সকাল ৮ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত চলে তার এই ক্ষুদ্র ব্যবসা। ছাতা ঠিক করে প্রতিদিন আয় করেন ৫ থে সাতশ টাকা। আর এই টাকা দিয়ে সংসার চলে তার। ফরিদ চাচার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং থানায়। পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন নগরীর লালখান বাজারে।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এসব ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা গেলে তৈরী হবে নতুন নতুন কর্মসংস্থান আর এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :