১৯৭১ সালের এ দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনতার দুর্বার প্রতিরোধে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় এ উপজেলা। সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস। আনন্দে উদ্বেলিত কন্ঠে জয়বাংলা ধ্বনি আর হাতে প্রিয় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে সবাই।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাতে পাকিস্তানি হানাদাররা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষের ওপর। তাদের প্রতিরোধ করতে সারা দেশের সঙ্গে পীরগঞ্জ বাসীরাও গড়ে তুলেছিল দুর্বার আন্দোলন। স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, থানা অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করা সহ মুক্তিযুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা। এ অবস্থায় ৭১’র ১৭ এপ্রিল পীরগঞ্জে প্রথম হানা দেয় পাকিস্তানি বাহিনী।
তারা কয়েকটি সাজোয়া মটরযানে করে পীরগঞ্জে এসে বিভিন্ন এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং তৎকালিন পীরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ সুজাউদ্দীন, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা আব্দুল জব্বার, আতিউর রহমান সহ ৭ জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও পাকা সড়কের জামালপুর ফার্ম (ভাতার মারি ফার্ম) এলাকায় ব্যয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে এবং গুলি করে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে যায়। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করে পারিবারিক ভাবে দাফন করা হয়। দীর্ঘ সংগ্রামের পর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারাও ৩ ডিসেম্বর ভারতের মালন হয়ে পীরগঞ্জে প্রবেশ করে স্বদেশের পতাকা উড়িয়ে ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে উল্লাস করে।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :