AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অফিসে আজব নিয়ম, যত দৌড়, তত বোনাস!


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৩:০৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩
অফিসে আজব নিয়ম, যত দৌড়, তত বোনাস!

যত দৌড়াবেন, তত বোনাস পাবেন! শুনতে অবাক লাগলেও চীনের একটি কোম্পানি এমনই এক কৌশল হাতে নিয়েছে। কর্মীদের দৌড়ানোর ভিত্তিতে বোনাস নির্ধারণ করা হবে। বিতর্ক তৈরি হলেও এই পদ্ধতিতে কর্মীদের আর্থিক প্রয়োজন মেটার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে জানা যায়, চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ওই কোম্পানির নাম দ্য ডংপো পেপার কোম্পানি। এত দিন কাজের ভিত্তিতে কর্মীদের বছর শেষে বোনাস দিত প্রতিষ্ঠানটি। তবে সম্প্রতি তা বদলে শারীরিক কসরতের ভিত্তিতে বোনাসের নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কর্মী মাসে ৫০ কিলোমিটার দৌড়ালে তিনি সম্পূর্ণ বোনাস পাবেন। ৪০ কিলোমিটার দৌড়ালে পাবেন বোনাসের ৬০ শতাংশ। আর ৩০ কিলোমিটার দৌড়ালে পাবেন ৩০ শতাংশ। তবে কেউ যদি ১০০ কিলোমিটার দৌড়ান, তিনি অতিরিক্ত ৩০ শতাংশ বোনাস পাবেন।

দৌড়ের পাশাপাশি পাহাড়ে ওঠা বা দ্রুত হাঁটাকেও শারীরিক কসরত হিসেবে ধরা হবে। কেউ পাহাড়ে চড়লে প্রতি মাসের মোট কসরতের ৬০ শতাংশ পূর্ণ করেছেন বলে ধরা হবে। আর দ্রুত হাঁটলে ধরা হবে ৩০ শতাংশ। কর্মীরা কতটা দৌড়েছেন বা হেঁটেছেন, তা নির্ধারণ করা হবে তাদের মেবাইল ফোনের অ্যাপের মাধ্যমে।

এ বিষয়ে ডংপো পেপার কোম্পানির প্রধান লিন ঝিয়ং জানান, তিনি এই কৌশল নিয়েছেন, কারণ একটি প্রতিষ্ঠান তখনই ভালো করে যখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা সুস্থ থাকে। একজন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ হিসেবে তিনি এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। কোম্পানির অফিশিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুযায়ী, দুইবার এভারেস্টের সামিটে পৌঁছেছেন লিন ঝিয়ং।

বোনাসের নতুন পদ্ধতি নিয়ে খুশি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। একজন কর্মী বলেন, ‘এটা এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো। আমরা অর্থও পাচ্ছি, আবার স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে।’ আরেকজন বলেন, ‘আমি মাসে ৯০ কিলোমিটার দৌড়াই। এতে আমার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বিষয়টি নিয়ে ডংপো পেপার কোম্পানির প্রধান লিন ঝিয়ং বলেন, তিনি এই কৌশল নিয়েছেন; কারণ, একটি প্রতিষ্ঠান তখনই টেকসই হয়, যখন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা সুস্থ থাকেন। তিনি নিজেও একজন স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ। এরই মধ্যে দুবার তিনি এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন।

বোনাসের নতুন পদ্ধতি নিয়ে বেশ খুশি প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। এমনই একজন বলেন, ‘এটা এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো। আমরা এ থেকে অর্থও পাচ্ছি, আবার স্বাস্থ্যও ভালো থাকছে।’

এর আগে ২০১৯ সালে এমন উদ্যোগ নিয়েছিল বেইজিং ইনস্টিটিউট অব গ্রাফিক কমিউনিকেশন। সেখানকার শিক্ষার্থীরা যারা দিনে ১০ হাজার কদমের বেশি হাঁটে তাদের জন্য ক্যান্টিনে বিনামূল্যে একটি ক্রেফিশ দেওয়া হতো। আর যারা দিনে ৫ হাজার কদম হাঁটেন তাদের জন্য এটি অর্ধেক দামে দেওয়া হতো। এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পায়।

একুশে সংবাদ/এসআর

Link copied!