`আবৃত্তি পরব` উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ড. তপন রায় প্রধান উৎসবে সূচনা সঙ্গীত গাইলেন ড. পৌলমী দাস। আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন হল `আবৃত্তি আমার ভালোবাসা`, উদার আকাশ প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে মূল্যবান গ্রন্থটি। উদার আকাশ প্রকাশনের প্রকাশক ও সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, বাংলা আকাডেমি সভাঘরে ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়-এর লেখা `আবৃত্তি আমার ভালোবাসা` উদ্বোধন করলেন কলকাতা দূরদর্শনের প্রাক্তন অধিকর্তা ড. তপন রায় প্রধান, সঙ্গীত শিল্পী দেব চৌধুরী, কবি শিবাশিস মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা এবং অধ্যাপক ড. জনার্দন ঘোষ, আকাশবাণী এফ এর জনপ্রিয় উপস্থাপিকা শুক্লা রায়, ত্রিপুরা থেকে বিশিষ্ট আবৃত্তিকার বৈশম্পায়ন চক্রবর্তী।
সাড়া পড়ে যায় সারা শহর জুড়ে। কবিতা অভিনয়, কাব্যনাট্য, একক এবং সমবেত আবৃত্তি, আবৃত্তি কোলাজ, কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ, কথা অভিনয়, বাচিক অভিনয় ছিল এই পরবে। আবৃত্তি পরবের সামগ্রিক ভাবনায় ছিলেন আবৃত্তিওয়ালা ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায় এবং ড. পৌলমী দাস। `ছায়ানট` কলকাতার নিবেদন সমবেত আবৃত্তি `সাম্যবাদী নজরুল` পরিচালনায় ছিলেন সোমঋতা মল্লিক। আবৃত্তি পরবের ভাবনা বহুমাত্রিক। কবিতা যেমন গান হয়ে ওঠে, গানের কথারাও কখনও চিত্রিত হয় আবৃত্তিকারের কণ্ঠপটে। তাই গানের কথা নিয়ে এই পরবে সামিল হলেন বাংলার গীতিকার দেব চৌধুরী। ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায় যখন উপস্থাপনা করলেন `তামাকু সেবনের অপকারিতা` হলে ছিল পিন পতনের নীরবতা। মুগ্ধ বিস্ময়ে এক অভিনব নিবেদনের সাক্ষী হল সেদিনের দর্শক| আবৃত্তিওয়ালার ছোটদের দলের প্রতিকৃতি, লিজা, মৌবনী, বসুন্ধরা মাতিয়ে দিল তাদের কবিতা অভিনয়ে।
নবীন প্রবীণ গুণী আবৃত্তি শিল্পীরাদের সঙ্গে ছিলেন বাংলার শিল্পীরা ও অনেক আবৃত্তিদল। সামগ্রিক পরিচালনায় ছিলেন সিদ্ধার্থ দাশ। সঞ্চালনা করেন হৈমন্তী ভট্টাচার্য। সব মিলিয়ে এক ব্যতিক্রমী সন্ধ্যার সাক্ষী থাকল আবৃত্তির দুনিয়া।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :