AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস


Ekushey Sangbad
টি আই সানি, শ্রীপুর, গাজীপুর
০৩:৪৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩
দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস

দিনে দিনে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস। কালের বিবর্তনে জলবায়ু সংকট ও প্রতিকূল পরিবেশে প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে খেজুর গাছ আর শীতকালের মিষ্টি খেজুরের রস। এরই মধ্যে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শ্রীপুর পৌর এলাকাায় সীমিত খেজুর গাছে রসের চাহিদা কিছুটা যোগান দেয়ার আশা করছেন গাছিরা। শীতের আগমনের সাথে সাথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য খেজুর রস সংগ্রহের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন গাছিরা।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষীরার সেই শ্যামনগর থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকাায় এসে সীমিত খেজুর গাছে রসের চাহিদা কিছুটা যোগান দেয়ার আশা করছেন গাছিরা। তারা বলছেন,শীতকালে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হল খেজুরের রস। বর্তমানে অনেক চাহিদা রয়েছে খেজুরের রসের। এ সময় খেজুর গাছের রস ও রস থেকে তৈরি গুড় বিক্রি করে সংসারের খরচ নির্বাহ করেন অনেকেই। তারই ধারাবাহিকতায় শীতের দেখা মিলতেই খেজুরের রস সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।

সাধারণত অগ্রহায়ন মাসের মাঝামাঝি সময়ে খেজুর গাছ পরিষ্কারের কাজ শুরু করে। অগ্রহায়ন মাসের শেষের দিকেই শুরু হয় খেজুরের রস আহরন। যা চলতে থাকে ফাল্গুন, চৈত্র মাসের শেষ পর্যন্ত। তবে এ বছর একটু আগের ভাগে শীতের আগমন ঘটায় আগে থেকেই রস কাজে সংগ্রহে নেমেছেন গাছিরা।

গাছিরা বলছেন, শীতের তিব্রতার উপর নির্ভর করে রস উৎপাদন। শীত বেশি হলে রস বেশি ও মিষ্টি  হয় । তবে কুয়াশা বেশি হলে রস ঘোলা হয়ে যায়। খেজুরের রস বাঙালীদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। ঠিক তেমনি খেজুরের গুড় ও অধিক প্রিয় মানুষের কাছে।

সাতক্ষীরার সেই শ্যামনগর থেকে আসা গাছি জয়নাল আবেদীন  জানান, শীতকালে দিনের বেশি ভাগ সময় আমরা খেজুর গাছ পরিচর্যার কাজে সময় ব্যায় করি। তবে এখন খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় মানুষের চাহিদা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

আবুল বাশার জানান, বৈরি আবহাওয়ার কারণে কালের বিবর্তনে আবাদি জমি কমে বসতি এলাকা গড়ে ওঠায় সব গাছ প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যে খেজুর গাছগুলো আছে তা থেকে সংগৃহীত রস নিজের পরিবারের চাহিদা ামটানো যায়না। কালের বিবর্তনের সাথে সাথে বর্তমান সময়ে এসে আজ গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য প্রায় বিলুপ্তির পথে বলা চলে।

তার বেশ কয়েকটি কারণের মধ্যে রস সংগ্রহ আনেক কষ্টের কাজ বিধায় অনেকে ছেড়ে দিচ্ছে, তাছাড়া বর্তমানে এই খেজুর রস আহারণে দক্ষ গাছি তৈরি হচ্ছে না যেটা আর ও একটি কারণ। প্রতি বছর বহু গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে যেটা গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য নষ্ট সহ পরিবেশ নষ্টের একটা বড় কারণ। গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য সকলকে এগিয়ে আশা উচিৎ বলে মনে করেন এলাকার সুদী সমাজ।

একুশে সংবাদ/এস কে   

 

Link copied!