বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী, খোলা আকাশের নিচে বিশ্বের বৃহত্তম কারাগারখ্যাত গাজার ফিলিস্তিনিরা।সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য ঈদ আনন্দ নিয়ে এলেও, গাজাবাসীর দিনটি কাটবে স্বজন হারানোর বেদনা আর ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে। জাতিসংঘে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও বন্ধ হয়নি ইসরায়েলি হামলা। এতে বিশ্বনেতাদের কাছ থেকে ঈদে শুভেচ্ছা উপহার নয় তারা চাইছেন যুদ্ধ বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ।
এক মাসের সিয়াম সাধনার পর আসছে ঈদ। আর ঈদ মানেই নতুন জামা, সকালের নামাজ, স্বজনদের আনন্দ ভাগাভাগি করা। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে সে আনন্দ বহাল থাকলেও, ভিন্ন গল্প গাজার। সেখানে এবারের স্বজন হারানোর বেদনা, বোমায় বিধ্বস্ত মসজিদের দুঃসহ স্মৃতির মধ্যে। পিছু ছাড়ছে না ক্ষুধা, বাবা-মা, ভাই-বোনের মৃত্যুর শঙ্কা।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে। প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। ত্রাণ পেতে ইসরায়েলি বাধায় এক বেলা খাবার জোগার করাই কঠিন।আর নিয়ম করে যেমন সূর্য উঠে এবং অস্ত যায়, তেমনি নিয়ম করে তাদের জীবনেও বারবার নির্মমতা নেমে আসে। দশকের পর দশক ধরে তা চলছে। এক সময় তাদের জমি ছিল, মাথার উপরে ছাদ ছিল। সব দখল হয়ে গেছে। সর্বশেষ আশ্রয়টুকুও দখলের পথে।
পৃথিবী একটি নির্দয়-নিষ্ঠুর সময় অতিক্রম করছে। এমন সময় আগে কখনো আসেনি—বলা যাবে না। বেশ কয়েকবার এসেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, হিটলারের ইহুদি নিধন, ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম অধ্যায়। তবে, এবারের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতা ও বর্বরতা একটু ব্যতিক্রমী। সমগ্র পৃথিবী এবারের বর্বরতা-নিষ্ঠুরতাকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যা সম্ভবত কখনো এমনভাবে দৃশ্যমান হয়নি।
বলছি ফিলিস্তিনিদের কথা। বলছি বিশ্ব শক্তির সহযোগিতায় ইসরায়েল কর্তৃক সংগঠিত দখল-হত্যা ও নিষ্ঠুরতার কথা।
আর ১৯৪৮ সালে সেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্রের ঘোষণা দেয়। এরপর ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে আরবদের পরাজিত করে ইসরায়েল বিস্তৃত এলাকা দখল করে নেয়।
১৭ বছর ধরে গাজা অবরুদ্ধ, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খোলা কারাগার। ২০০৫ সালের নির্বাচনে ফিলিস্তিনিদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাহমুদ আব্বাস। ২০০৪ সালে ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর আল ফাত্তাহর নেতৃত্বে আসেন মাহমুদ আব্বাস। ২০০৬ সালের প্রাথমিক নির্বাচনে পরাজিত হয় ফাত্তাহ। সেই বছরই হামাস-ফাত্তাহ গৃহযুদ্ধে পরাজিত হয় ফাত্তাহ। ২০০৭ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গাজায় সরকার গঠন করে হামাস।
গাজার এক পাশে ভূমধ্যসাগর, এক পাশে মিশর এবং দুই পাশে দখলদার ইসরায়েল।
৪১ কিলোমিটার লম্বা ও ১০ কিলোমিটার প্রস্থের গাজা উপত্যকায় প্রায় ২৩-২৪ লাখ ফিলিস্তিনির বসবাস, যাদের ৭০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে ও বেকারত্বের হার ৬৫ শতাংশ।
হামাস ক্ষমতায় আসার পর ২০০৭ সাল থেকে মিশর ও ইসরায়েল গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এখানে কী ঢুকবে, আর কী ঢুকবে না—তা নিয়ন্ত্রণ করে মিশর ও ইসরায়েল।
গাজায় কাজের সংকট, খাদ্য সংকট নিত্যদিনের। কিন্তু মাদকের সংকট নেই। ইসরায়েল গাজায় হরেক রকমের মাদক প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে দেয়। উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনিদের মাদকাসক্ত করে গড়ে তোলা।
মিশরের সঙ্গে দক্ষিণ গাজার সীমান্ত রাফাহ এখন বন্ধ। এই সীমান্ত খোলার আলোচনা চলছে। হাজারো ফিলিস্তিনি রাফাহ সীমান্তে জড়ো হয়েছে।
এ কথা সত্য যে হামাস ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে নির্মমতা চালিয়েছে। প্রশ্ন এসেছে—হামাস কেন ইসরায়েলে আক্রমণ করল? কারণ হতে পারে দুটি।
প্রথমত, যেসব দেশের অবস্থান ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ও ইসরায়েলের বিপক্ষে ছিল, তারাও ক্রমান্বয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে। বিশেষ করে আরব বিশ্ব, সৌদি আরব যার নেতৃত্বে। ফিলিস্তিনিরা বা হামাস মনে করছে, তাদের স্বার্থ এখন আর কেউ দেখছে না। হামাস ইসরায়েলে হামলা করে বুঝিয়ে দিলো যে, ফিলিস্তিনিদের বাদ দিয়ে কোনো শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না।
দ্বিতীয়ত, ইসরায়েল প্রতিদিনই একটু একটু করে ফিলিস্তিনিদের জায়গা দখল করে ইহুদি বসতি স্থাপন করছে। ফিলিস্তিনিদের নিপীড়ন করছে, হত্যা করছে। ইসরায়েল সরকার তার নাগরিকদের নিশ্চয়তা দিয়েছিল যে, যা কিছুই ঘটুক না কেন, তারা নিরাপদ। হামাস আক্রমণ করে বোঝাতে চাইল ইসরায়েলি জনগণও নিরাপদ নয়।
হামাসের আক্রমণ নিয়ে ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ চলছে। সেই ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণের প্রায় সবই পক্ষপাতদুষ্ট। পৃথিবীর সামরিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, একই রকম আচরণ করছে তাদের গণমাধ্যমও।
১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের ধ্বংসলীলাকে ফিলিস্তিনিরা দুটি অভিধায় চিহ্নিত করে থাকে। এক. আল-গুরবা অর্থাৎ নির্বাসন। দুই. আল-নাকবা অর্থাৎ ধ্বংস বা বিপর্যয়। শব্দ দুটি ফিলিস্তিনি অভিধানে নিপীড়নের তাজা ক্ষতচিহ্ন বয়ে চলেছে। ৭৬ বছর ধরে এমন নাকবার মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হচ্ছে। কারণ, আরও অনেকবার ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করতে বর্বর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এবার যেন তার চূড়ান্ত রূপ দেখাচ্ছে তারা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যা অভিযান নিয়ে মানবতাবাদী বিশ্ব প্রতিবাদী চিৎকার করে গেলেও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যায় পিছপা হচ্ছে না ইসরায়েল। উপরন্তু তাদের ইন্ধন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, তাদের আইনপ্রণেতা ও উগ্রবাদী ইহুদি ব্যবসায়ীরা। যেমন ১ এপ্রিল এক মার্কিন সিনেটর ইসরায়েলকে পরামর্শ দিয়েছেন, হিরোশিমা-নাগাসাকির মতো গাজায় হামলা চালিয়ে এই যুদ্ধের ইতি টানতে। আণবিক বোমা ফেলে জাপানের এই দুটি শহর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শ্মশান বানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এ কী বিভীষিকাময় মনুষ্যত্ব! যেখানে গাজার ক্ষুধার্ত মানুষ পবিত্র রজমানে ধুঁকছে আর কখন বোমার আঘাতে মৃত্যু হয়, সেই ভয়ে দিন কাটাচ্ছে।
ফিলিস্তিনে রমজান ও ঈদে খুশির আবহ দেখা যায়। ঈদের আয়োজন শুরু হয় রমজান ঘিরেই। নিপীড়নের শৃঙ্খলে বাঁধা থাকলেও ধর্মীয় বিধান, আচার, ঐতিহ্য পালন ও উদযাপনে তাদের আগ্রহ দেখা যায়। রমজান মাসে ফিলিস্তিনি আরবদের ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে বাতি। মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসে। সবার বাড়িতে ইফতারির আয়োজন থাকে। পবিত্র রমজান মাসটি ফিলিস্তিনিদের জন্য কিছুটা উৎসবই বয়ে আনে। অথচ এবার ফিলিস্তিন, বিশেষ করে গাজার চিত্রটা আলাদা। খাবার, পানি ইফতারের সব খাদ্যসামগ্রীই এবার যেখানে অনিশ্চিত। আনন্দঘন আয়োজনের বদলে বাবা-মাকে দেখতে হচ্ছে ক্ষুধার্ত সন্তানদের বিমর্ষ মুখ। সব আনন্দ কেড়ে নিয়েছে ইসরায়েলের নৃশংসতা।
অথচ এই ফিলিস্তিনেই রোজা মানে ছিল উৎসব, মানুষে মানুষে সমবেত আয়োজন। গত বছর মার্চ-এপ্রিলে রমজানে গাজায় দেখা গিয়েছিল সাজানো-গোছানো ঘরবাড়ি ও সড়ক। রমজান উপলক্ষে লন্ঠন, রঙবেরঙের বাতি জ্বালাতে দেখা গিয়েছিল। সমবেত ইফতারে নানা পদে খাবার ছিল। সড়কে-গলিতে ছিল মানুষের আনাগোনা। আনন্দে মাততে দেখা গিয়েছিল শিশুদের। এবার তার কিছুই নেই। ফলে রমজান শেষে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর শোকে আর পরিতাপে কাটবে ফিলিস্তিনিদের। হয়তো সেদিনও তাদের পোশাক ভিজে যাবে ইসরায়েলের বোমার আঘাতে; গুলি ও গোলায় ঝাঁঝরা হবে কোনো না কোনো মায়ের বুক। অথচ গত বছরও ঈদুল ফিতরের চিত্র ছিল উৎসবমুখর।
যেমন ছিল ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর
২০২৩ সালের ২১ এপ্রিল ফিলিস্তিনে ঈদুল ফিতর উদযাপন হয়। ফিলিস্তিন ইনফরমেশন সেন্টার ২০ এপ্রিল ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতে বলা হয়, ঈদুল ফিতর হলো আনন্দদায়ক একটি উৎসব, যা ফিলিস্তিনে তিন ধরে উদযাপন করা হয়। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন মিলেমিশে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া, খাবার ভাগ করে নেওয়া এবং পরস্পরের সঙ্গে দেখা করার আয়োজনে ব্যস্ততার বর্ণনা ছিল ওই প্রতিবেদনে।
প্রতি বছরের মতো গত বছরও গাজা উপত্যকার সমস্ত শহর ও গ্রামজুড়ে ঈদের জনপ্রিয় খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে অন্যতম ‘কাক’ ও ‘মামুল’ বেকিংয়ের ঘ্রাণ পাওয়া যায়। তার সঙ্গে কুকি খেজুরের পেস্ট বা বাদাম থাকে। ঈদের দিন এসব খাবারের সঙ্গে থাকে চা বা কফি। প্রতি বাড়িতে তৈরি করা ঈদের খাদ্যসামগ্রী নারীরা আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
গত বছর ঈদুল ফিতরের আগের দিন শাতি শরণার্থী শিবিরের তিন সন্তানের মা ওম আহমাদ আবু জাইদাহ বলেছিলেন, ‘আমি “কাক” ছাড়া ঈদ কল্পনা করতে পারি না! পরিবারের নারী সদস্যরা ভাগাভাগি করে কেউ ময়দা মাখে, অন্যরা তা গোলাকৃতির করে দেয় এবং অন্যরা তা সেঁকে কাক তৈরি করে। ঈদের এই খাবারের ঘ্রাণ বেশ খানিকটা দূর থেকে পাওয়া যায়। এটি মুখে পানি আনা ঐতিহ্যবাহী খাবার বটে।’
আর ঈদের আগে ফিলিস্তিনের সাধারণ বাজারগুলোতে নতুন পোশাক কেনা মানুষের ভিড় দেখা যায়। গত বছরও তা ছিল। বাড়িঘরও পরিষ্কার করতে দেখা যায়। ঘরের দেয়ালে রঙিন প্রলেপ পড়ে। দলবেঁধে পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত করতে দেখা যায়। এবারও ফিলিস্তিনিদের কবরের পাশে দেখা যাবে, দেখা যাবে না রঙিন প্রলেপ দেওয়া বাড়ির দেয়াল, পরিচ্ছন্ন ঘরদ্বোর, নতুন পোশাক। জালিম ইসরায়েলের নৃশংসতায় স্বজন হারানোর বেদনা আর শোক-স্মৃতি নিয়ে কাটবে ফিলিস্তিনিদের ঈদ।ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গত বছরের ৭ অক্টোবর চলা নিরলস এই হামলায় কমপক্ষে ৩৩ হাজার ১৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৫ হাজার ৮১৫ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
এমন অবস্থায় স্বজন হারানোর শোক ও দুঃখ নিয়ে ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি এবার ভিন্ন এক পরিবেশে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে খাবার ও পানির সংকট।
গত ঈদে দোলনা ও গোলচত্বরে খেলা করেছিল ওরা। এবার তারা কবরে ঘুমিয়ে আছে, অনেকের কবরও চিহ্নিত করা যায়নি। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া বহু শিশুকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বাবা-মা ও পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শরণার্থী শিবিরে অনিশ্চিত দিন গুনছে যে শিশুরা, এবার তাদের কপালে চুমু দিয়ে আদর করে ঈদের নামাজ পড়তে পাঠাবেন কে? তার উত্তর দেওয়ার কেউ নেই।
জাতিসংঘে একাধিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে মানবতার বুলি কপচানো আমেরিকা। তবে সবশেষ প্রস্তাবে থেকেছে ভেটো থেকে বিরত।
এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হলেও, হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত হামলা বন্ধ না করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। তবে প্রায় আধ-বছর ধরে চলা এই হামলায় হামাসের তেমন কিছু না হলেও এর মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের, সবচেয়ে বেশি বিপন্ন শিশুরা।
এ অবস্থায় ঈদে শুভেচ্ছা নয়, বিশ্বনেতাদের কাছ থেকে গাজাবাসী চাইছেন ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধে শক্ত পদক্ষেপ।
লেখক, কলাম লেখক ও গবেষক
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :