AB Bank
ঢাকা শনিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পরিবেশবান্ধব মাটির ঘর বিলীন হওয়ার পথে


Ekushey Sangbad
বেলায়েত হোসেন, ঢাকা
০৫:৪০ পিএম, ৩ জুলাই, ২০২৪
পরিবেশবান্ধব মাটির ঘর বিলীন হওয়ার পথে

ঐতিহ্যবাহী মসলিন কটন মিল ও তাঁত সমৃদ্ধ ছায়া-ঢাকা জনপদ কালীগঞ্জ উপজেলা। গাজীপুর জেলার সবচেয়ে ক্ষুদ্র উপজেলা কালীগঞ্জ। এ উপজেলার উত্তরে শ্রীপুর উপজেলা ও কাপাসিয়া উপজেলা, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলা ও ঢাকার উত্তরখান থানা, পশ্চিমে গাজীপুর সদর উপজেলা। পূর্ব-দক্ষিণে শীতলক্ষ্যা নদী আর পশ্চিমে বালু নদীর অবস্থান উপজেলার মনোরম আবহাওয়া ও জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ভাঙ্গা-চোরা মাটির ঘর


এক সময় গ্রামগুলোতে নজরে পড়তো মাটির ঘরবাড়ি। প্রচুর গরম ও শীতে বসবাসের উপযোগী ছিলো এই মাটির ঘর। কিন্তু বর্তমানে মাটির তৈরি ঘর নির্মাণে কারও কোনও আগ্রহ নেই। ফলে এ অঞ্চলগুলোতে আর তেমন চোখেও পড়ে না সেই ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বাড়িঘর।

ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরি বাড়িঘর


এসব মাটির ঘরের দেয়াল এক থেকে দেড়হাত পর্যন্ত চওড়া হয়। মাটির সহজলভ্যতা, প্রয়োজনীয় উপকরণ আর শ্রমিক খরচ কম হওয়ায় আগের দিনে মানুষ মাটির ঘর বানাতে বেশ আগ্রহী ছিলো। এসব  মাটির ঘর তৈরি করতে কারিগরদের সময় লাগতো দেড় থেকে দু’মাস। কিন্তু বর্তমানে এর চাহিদা না থাকায় কারিগররাও এই পেশা ছেড়ে অন্য অন্য পেশায় জড়িয়ে পরছে।

নান্দনিক -টির ঘর


মাটির তৈরি এসব ঘর এখন আর চোখে না পড়লেও এটা মানতে হবে যে, এই ঘরগুলো শীত বা গরমে থাকার জন্য বেশ আরামদায়ক।  মাটির ঘরে শীতের দিনে ঘর থাকে উষ্ণ, আর গরমের দিনে শীতল। তাই মাটির ঘরকে গরিবের এসিও বলা হয়ে থাকে।

ভাঙ্গা-চোরা মাটির ঘর-২


শুভাঢ্যা ইউনিয়নের বিল কাঠুরিয়া গ্রামের নয়ন মিয়া বলেন, 

তারা  মাটি, বাঁশ ও টিন সংগ্রহ করে নিজেরাই  মাটির ঘর তৈরি করতেন। ঘর তৈরির কারিগরের কাজও করতেন। কিন্তু বর্তমানে এসকল ঘরের চাহিদা না থাকা এবং তুলনামূলকভাবে খরচ বেশি ও ঘর তৈরির কারিগররা অন্য পেশায় লিপ্ত হওয়ায় এখন আর মাটির ঘর তেমন একটা দেখা যায় না।


নলতা ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের ইসমাই হোসেন ব্যাপারী জানান, 

‘আরামদায়ক মাটির ঘরে দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি বিত্তবানরাও একসময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতেন। আরামদায়ক বসবাসে জন্য মাটির ঘর খুবই ভালো একটি আবাসন। বৃষ্টি বা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ না হলে এসব ঘর অনেক বছর পর্যন্ত টিকে ।’


তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মানুষের আধুনিক জীবনযাপনের ইচ্ছা ও আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবাই মাটির ঘর ভেঙে টিন আর ইটের পাকা-আধাপাকা বাড়ি তৈরি করেছেন। বিলুপ্ত হতে চলেছে অতীতের এসব মাটির ঘর।

নান্দনিক -টির ঘর-২


তবে এখনো বেশ কিছু জায়গায় মাটির ঘরের দেখা পাওয়া যায়। যার দেয়াল খুব একটা মজবুত নয়, ভাঙাচোরা, স্যাঁত ছেঁতে। আগের মত এখন আর তারা মাটির ঘরের যত্ন খুব একটা নেন না। কারণ হিসেবে মাঝপাড়া গ্রামের অলি মিয়া বলেন-

‘মাটির ঘরে আগে যেভাবে যত্ন নেওয়া হতো, এখন আর এমনটা দেখবেন না, এখন প্রায় বাড়িতেই টিনের ঘর অথবা বিল্ডিং। তবে কেউ কেউ শখের বসে বাপ-দাদার তৈরি করা মাটির ঘর যত-সামান্য পরিপাটি করে রাখছেন।’

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!