গ্রামের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা যখন গ্রামে যাই, তখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলি। তারা স্বাস্থ্যসেবায় সন্তুষ্ট। তাদের কোনো হাহাকার নেই।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
দেশে চোখের চিকিৎসা অনেক বেশি উন্নত হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চক্ষুসেবায় ভূমিকা রাখায় দেশে অন্ধত্ব বরণের হার এক শতাংশে নেমে এসেছে, যা পূর্বের তুলনায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থেকেও আমরা এগিয়ে। যেখানে ভারতে দুই শতাংশ এবং নেপালে আড়াই শতাংশ মানুষ অন্ধত্ব বরণ করে থাকেন। এ জন্য জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আছেন। আমরা মনে করি মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু অল্প কয়দিন ক্ষমতায় থেকে বিসিপিএস প্রতিষ্ঠা করেছেন, বিএমডিসি, পঙ্গু হাসপাতাল, পরিবার পরিকল্পনার সূচনা ও চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন। পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা দিয়েছেন এবং ক্লিনিকের কথা বলে গেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ধারাবাহিকতা ধরে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০টি আই কেয়ার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর ফলে দেশের মানুষ আধুনিক চক্ষুসেবা পাচ্ছেন, যা আগে পেতেন না।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ২০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে চোখের চিকিৎসা পেয়েছেন। এর পাশাপাশি তিন লাখ লোক পাওয়ার চশমা পেয়েছেন বিনামূল্যে। শিশুরা যে রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো তাও এখন কমেছে।
সারাদেশের আরও ৩০০ উপজেলায় আইকেয়ার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/ই.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :