স্ট্রোককে বয়স্কদের রোগ বলা হলেও অল্প বয়সীদের মধ্যেও আশঙ্কাজনকহারে বাড়ছে এ রোগ। বাংলাদেশে স্ট্রোকে আক্রান্তের হার অন্য দেশের তুলনায় ৩ গুণেরও বেশি। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণসহ জীবন আচরণে পরিবর্তন আনতে পারলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৯০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
২৮ বছরের সাহি খান স্ট্রোকের রোগী। রাজধানীর নিউরো সায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১ নভেম্বর থেকে। সাহির বাবা জানান, পুরোপুরি সাধারণ জীবনযাপন করেন তার ছেলে। সব সময় পড়াশোনা করতো, খেলাধুলা বা বন্ধুবান্ধব ছিল না সাহির।
এই হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন নরসিংদীর ৪২ বছরের রিপন মিয়া। চিকিৎসকরা জানান, এর চেয়ে কম বয়সী মানুষের স্ট্রোকে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে মাস খানেক আগে।
মস্তিষ্কের রক্তনালীর জটিলতার এই রোগকে সাধারণত বয়স্কদের রোগই বলা হয়। তবে তরুণদের মধ্যে এই রোগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এখন। এজন্য অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনকেই দায়ী করেন চিকিৎসকেরা।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের যুগ্ম-পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম বলেন, `অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ব্রেনে জন্মগত ত্রুটি যদি থাকে তাহলে কোন বয়স লাগে না তাহলে স্ট্রোক হতে পারে।`
দেশে ১১ শতাংশের বেশি মানুষ স্ট্রোকের ঝুঁকিতে রয়েছে। আক্রান্তদের ৪০ শতাংশই মারা যান। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়েন ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। স্ট্রোক প্রতিরোধে ব্যায়াম এবং নিয়মিত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম আরও বলেন, `অলস জীবনযাপন পরিহার করে প্রতিদিন হাঁটা, মাঝে মাঝে শরীরের অঙ্গের পরীক্ষা করতে পারলে স্ট্রোক থেকে বাঁচা সম্ভব।`
হৃদরোগ ও অনিদ্রায় ভোগা ব্যক্তিদেরই স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। চিকিৎসকদের মতে, শুধু সচেতনতার মাধ্যমেই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :