AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মানবদেহে নিপাহর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
০৬:০৫ পিএম, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪
মানবদেহে নিপাহর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসের পরীক্ষামূলক টিকা মানবদেহে প্রয়োগ শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এ তথ্য জানায় অক্সফোর্ড।

২৫ বছর আগে নিপাহ ভাইরাস মালয়েশিয়ায় আবিষ্কৃত হলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক বের করা সম্ভব হয়নি। গত সপ্তাহে নিপাহ ভাইরাসের প্রথম টিকা একজনের শরীরে প্রয়োগ করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, অ্যাসট্রোজেনেকা ও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোভিড-১৯-এর টিকা আবিষ্কার করেছে, সেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিপাহ ভাইরাসের টিকাও উদ্ভাবন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মহামারি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মুখপাত্র জানান, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মোট ৫১ জন মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলক এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এরপর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত দেশগুলোতে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে।

এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশন (সিইপিআই)-এর নির্বাহী ড. ইন কুয়ো উন বলেন, নিপাহ ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বব্যাপী ২০০ কোটি মানুষের আবাসস্থলে যেখানে ফল ও বাদুড় থেকে এই রোগ সংক্রমিত হয়, সে ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।

এই প্রতিষেধক আবিষ্কারে নেতৃত্ব দিয়েছে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ ও অর্থ সরবরাহ করেছে সেপি। সেপি একটি আন্তর্জাতিক জোট যারা বিশ্বব্যাপী টিকা আবিষ্কারে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করে।

এর আগে আরেক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মডার্নাও নিপাহ ভাইরাসের প্রাথমিক প্রতিষেধক আবিষ্কারে গবেষণা শুরু করেছিল।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতের কেরালায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এতে ছয়জন আক্রান্ত হন। মারা যান দুজন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি জ্বর, সর্দি, মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভোগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই রোগে মৃত্যুহার ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ।


একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

Link copied!