আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ রয়েছে। ভিটামিন ডি-এর প্রধান প্রাকৃতিক উৎস হলো সূর্যের আলো। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ত্বকের এপিডার্মিসের নিচের স্তরে কলিক্যালসিফেরলের সংশ্লেষণের মাধ্যমে ভিটামিন ডি তৈরি হয় (বিশেষত অতিবেগুনী রশ্মির বিকিরণের মাধ্যমে)। এটি হাড় ও দাঁতের বৃদ্ধি ও বিকাশে সাহায্য করে। মানসিক সুস্থতার জন্যও এটা খুবই জরুরি।
শরীরে ভিটামিন ডি-র অত্যধিক ঘাটতি দেখা দিলে অনেকেই ভিটামিন ডি ওষুধ ও সাপ্লিমেন্ট খান। কিন্তু শরীরে ভিটামিন ডি-র পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে হীতে বিপরীত হয়। দেখা দেয় নানা সমস্যা । কাজেই, আপনাকে সঠিক পরিমাণ ভিটামিন ডি খেতে হবে। বয়স অনুযায়ী ভিটামিন ডি খাওয়ার পরিমাণ বদলে যায়।
ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ -এর তথ্য অনুযায়ী, ০-১ বছর বয়সি শিশুদের জন্য দৈনিক ভিটামিন ডি প্রয়োজন ০.০১ মিলিগ্রাম
১-১৩ বছর বয়সিদের জন্যেও দৈনিক ভিটামিন ডি প্রয়োজন ০.০১৫ মিলিগ্রাম। ১৪-১৮ বছর বয়সিদেরও রোজ ০.০১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ডি প্রয়োজন।
১৯-৭০ বছর বয়সীদের নিয়মিত ০.০১৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন ডি খাওয়া প্রয়োজন। ৭১ বছর ও তার বেশি বয়সীদেএর দৈনিক ০.০২ মিলিগ্রামের বেশি ভিটামিন ডি না খাওয়াই ভাল।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :