AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চট্টগ্রামে তৈরি হচ্ছে রাসেলস ভাইপারের প্রতিষেধক!


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
০৫:০৮ পিএম, ২৬ জুন, ২০২৪
চট্টগ্রামে তৈরি হচ্ছে রাসেলস ভাইপারের প্রতিষেধক!

সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপের প্রতিষেধক তৈরির কাজ চলছে চট্টগ্রামের ভেনম রিসার্চ সেন্টারে। এরইমধ্যে প্রথম ধাপে মুরগি ও ছাগলের ওপর পরীক্ষাও চালানো হয়েছে।

এদিকে, রাসেলস ভাইপার অনেকটা নিরীহ ও অলস প্রকৃতির সাপ বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। বিপদ না দেখলে নিজ থেকে তেড়ে এসে কামড়ায় না সাপটি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানান ভেনম রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তারা।

বিষের তীব্রতার দিক থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বিষধর সাপ চন্দ্রবোড়া, যা রাসেলস ভাইপার নামেও পরিচিত। কিন্তু দেশে এই সাপের বিষের শতভাগ কার্যকরী কোনও প্রতিষেধক নেই। বাংলাদেশের বিষধর সাপের বিষ ভারতীয় সাপের থেকে আলাদা। তাই অনেক ক্ষেত্রে ভারতীয় সাপের প্রতিষেধক পুরোপুরি কার্যকর হয় না।

ভেনম রিসার্চ সেন্টারে রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম তৈরির কাজ করছেন একদল গবেষক। এক বছর আগে শুরু হওয়া গবেষণায় এরইমধ্যে মুরগি ও ছাগলের ওপর চালানো হয়েছে পরীক্ষা। এ  বছরের শেষদিকে সবকিছু ঠিক থাকলে পরীক্ষা চালানো হবে ইঁদুরের ওপরে। এই পরীক্ষা সফল হলে যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হবে বলে জানান ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা।

ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সমন্বয়ক ডা. আব্দুল্লাহ আবু সাইয়ীদ বলেন, ‘রাসেলস ভাইপারের বিপরীতে আমরা একটি এন্টিবডি তৈরি করতে যাচ্ছি। মুরগি ও ছাগলের ওপরে এরইমধ্যে পরীক্ষা করেছি। এ বছরের শেষ দিকে ইঁদুরের ওপরে চালানো হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ আমরা আমাদের গবেষণা শেষ করতে পারব।’

ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহকারী গবেষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘আতঙ্ক তৈরি হয় মানুষের মনের ভয় থেকে। অন্ধকার ঘরে সাপ মানে সব জায়গায় সাপ। বাংলাদেশে এখন মনে হচ্ছে সাপ মানে শুধুই রাসেলস ভাইপার। এন্টিভেনমের ক্ষেত্রে বিষয়টা এমন নয়। বাংলাদেশের এন্টিভেনম, ভারতের এন্টিভেনম। আমাদের এখান থেকে ২ হাজার কিলোমিটার দূরে ভারতে এন্টিভেনম তৈরি হচ্ছে। যতই ভৌগোলিকভাবে আমরা দূরে যাচ্ছি, এন্টিভেনমের সক্ষমতা কমে যায়। যখন আমরা বাংলাদেশের সাপের ওপরে বাংলাদেশের তৈরি এন্টিভেনম ব্যবহার করতে পারব, তখন এর কার্যক্ষমতা থাকবে শতভাগ।’

এদিকে, ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সহযোগী গবেষক মো. নোমান বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে রাসেলস ভাইপার নিয়ে কাজ করছি। রাসেলস ভাইপার অনেকটা নিরীহ ও অলস প্রকৃতির সাপ। যে জায়গায় থাকে সে জায়গার মধ্যেই থাকতে পছন্দ করে। নিজে তেড়ে এসে কামড় দেয়ার প্রবণতা কম। ঝুঁকি ও মানুষের সংস্পর্শের মাধ্যমে বিপদ মনে করলেই কামড় দেয়ার চেষ্টা করে শুধু।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজবের কারণে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক বেড়েছে বলে মনে করেন গবেষকরা।

আরেক গবেষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, একটা গুজব চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের দায়িত্বহীনতার পরিচয়ের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, একই ছবি বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহৃত হচ্ছে। যে অঞ্চলটিতে রাসেলস ভাইপারের উপস্থিতি নেই, তখন আশপাশে যে নির্বিষ সাপ রয়েছে, যে কোন সাপকেই মনে করা হচ্ছে রাসেলস ভাইপার। সাপ পিটিয়ে মেরে ফেলার প্রবণতা সাধারণ মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ২৭টিতেই রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ভেনম রিসার্চ সেন্টারে গবেষণার জন্য পঞ্চাশটি রাসেলস ভাইপার সাপ রয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা

Link copied!