আহতদের চিকিৎসায় চীনের চিকিৎসক দলের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ্ মো: হেলাল উদ্দীন এতথ্য জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রনে অতি অল্প সময়ের মধ্যে চায়না মেডিকেল টিম বাংলাদেশে আসেন। এ টিমটা বাংলাদেশে এসেছে ২২ শে সেপ্টেম্বর এবং কাজ শুরু করেছেন ২৩ শে সেপ্টেম্বর। এই সময়ের মধ্যে তারা ১৬০ জন রোগী তারা ভিজিট করেছেন। এর মাঝে তারা ১০৫ জন রোগীর মেডিকেল রেকর্ডস পরীক্ষা করেছেন। উল্লেখ্য এটি একটি মেডিকেল এসেসমেন্ট টিম।
তিনি আরো বলেন, চীনের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করার সাথে চীন সরকার ২৪ ঘন্টার ভেতর মেডিকেল টিম গঠন করে ৪৮ ঘন্টার ভেতর এই টিমকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। এটা অসাধারণ একটা ব্যাপার। তারা এই সীমিত সময়ের মধ্যে পাচটি হাসপাতাল তারা ভিজিট করেছেন। এই মেডিকেল টিমটি রোগীদের দেখে ডাক্তারদের চিকিৎসার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। তাছাড়া এই ১০৫ জন রোগীর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। চীন থেকে যে টিমটি এসেছে সেটি মূলত একটি অ্যাসেসমেন্ট টীম। তারা গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলে আমাদের একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যাসেসমেন্ট রিপোর্ট পাঠাবেন। গুরুতর আহত রয়েছেন তিনজন। এদের মধ্যে দুইজন আইসিইউতে আছন, একজন চোখে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। আরো নার্ভ ইনজুরড কিছু রোগী রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, গুরুতর আহতদের ব্যাপারে আমাদের প্রাথমিক চেষ্টা থাকবে যাতে বাংলাদেশ সুচিকিৎসা করা যায়। চীনের মেডিকেল এসেসমেন্ট টিমের রিপোর্ট দেখে তাদের পরামর্শের ভিত্তিতে এ ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিব।আমরা চেষ্টা করছি যাতে চাইনিজ এক্সপার্টেদের দেশে এনে অথবা প্রয়োজনের নিরিখে যদি আমাদের প্রয়োজনীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতি বা দক্ষতার ঘাটতি থাকে তাহলে আহতদের বিদেশে পাঠানোর চিন্তা ভাবনা করছি। এ ব্যাপারে মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় খুবই আন্তরিক। গুরুতর আহতসহ সকল আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোন ঘাটতি থাকবে না।
তিনি বলেন, চীন থেকে আগত মেডিকেল টিম গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র জনতার চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং তাদের চিকিৎসা আমরা আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী দিতে পারছি কিনা এটা তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন। এটি নিয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট। আমাদের হাসপাতালগুলোর ইকুইপমেন্ট বিষয় ক্যাপাসিটি লিমিটেশন আছে কিনা এ বিষয়টিও তারা দেখেছেন। এ জায়গায় আমাদের কিছু ঘাটতি আছে।
সংবাদ সম্মেলন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :