চর্মরোগ থেকে শুরু করে নানা ধরনের রোগে চিকিৎসকরা স্টেরয়েড ব্যবহার করে থাকেন। স্টেরয়েড এক ধরনের ওষুধ। জাদুর মতো কাজ করে বলে অনেক রোগীই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই স্টেরয়েড সেবন করে থাকেন ও চিকিৎসকের দেওয়া মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরও এই ওষুধ ব্যবহার অব্যাহত রাখেন। তারপর হঠাৎ করেই দেখতে পান যে ওষুধে আর কোনো কাজ হচ্ছে না। একই সঙ্গে দেহে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।
আজকের প্রতিবেদনে আমরা জানব স্টেরয়েড ব্যাবহারে শরীরের কি কি ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে।
স্টেরয়েডের ব্যবহারের ফলে দেহে পানি জমতে পারে। বিশেষ করে মুখমণ্ডলে ফোলা ফোলা ভাব দেখা যেতে পারে। স্টেরয়েডের ব্যবহারের ওপর নির্ভর করছে এই পানি জমার পরিমাণ। এ ছাড়া এই স্টেরয়েড ব্যবহারে ব্রণ বাড়তে পারে।
স্টেরয়েড বেশি ব্যবহারের ফলে অনেক সময় বুক ধড়ফড় করতে পারে। দেহের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার ফলে এমনটা ঘটতে পারে। অন্যদিকে এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়তে পারে। এছাড়াও রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং রক্তনালির গায়ে এসব কোলেস্টেরল জমা হয়ে তা সংকীর্ণ হয়ে যায়।
ফলে হৃৎপিণ্ডের পেশিতে সঠিকভাবে রক্ত সরবরাহ হয় না এবং হৃদরোগের সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও স্টেরয়েড যদি ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে চোখে সংক্রমণজনিত কোনো রোগ থাকলে তা বেড়ে যাবে। একইভাবে স্টেরয়েড চোখের ভেতরের তরল পদার্থের চাপ বৃদ্ধি করে গ্লকোমা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। এভাবে চোখের চাপ বৃদ্ধির ফলে অন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে চোখে স্টেরয়েডের কারণে ছানি পড়তে পারে।
এমনকি স্টেরয়েড কিডনির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলে। এর ফলে দেহে লবণ এবং পানি জমে থাকে। পরিণামে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়।এছাড়াও এটি ফুসফুসের ক্ষতি সাধন করে ।
যেমন এর মাধ্যমে যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা থাকে । যক্ষ্মা- যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফুসফুসে হয়ে থাকে। নির্বিচারে স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে ফুসফুসের যক্ষ্মা রোগের জীবাণু সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এভাবে নিরাময়যোগ্য রোগ যক্ষ্মা দুরারোগ্য ব্যাধিতে পরিণত হয়।
তবে এবার আপনারাই বিবেচনা করুন অতিরিক্ত স্টেরয়েড খেয়ে নিজের ক্ষতি করছেন কি না ।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :