ফুলকপি এবং ব্রকলি –সবজি দুটির রঙ আলাদা হলেও দেখতে অনেকটা একইরকম। অনেকে মনে করেন পুষ্টি গুণের দিক দিয়ে ব্রকলির চেয়ে বেশি উপকারী ফুলকপি। অবশ্য অন্যরা ব্রকলিকেই বেশি উপকারী ভাবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বোক কোয়ে, ব্রাসেলস স্প্রাউট এবং এই ধরনের সবুজ পাতাযুক্ত ক্রুসীফেরাস গোত্রের শাকসবজি পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ এবং শরীরের জন্য দারুণ উপকারী।
ব্রকলি এবং ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় খনিজ ও ভিটামিন আছে যা শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে চিকিৎসকরা সুষম খাদ্যতালিকার জন্য ব্রকলি এবং ফুলকপি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
সবজি দুটিতে মিল থাকলেও এগুলো একইরকম নয়। দুটিরই আলাদা আলাদা স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে। দুটিতেই কম পরিমাণে ক্যালরি এবং উচ্চ পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যেমন-ফলিক এসিড, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, প্রোটিণ এবং ভিটামিন রয়েছে। যে পদ্ধতিতে সবজি দুটি চাষ করা হয় এবং এগুলোতে যে পুষ্টি রয়েছে তা সম্পূর্ণ আলাদা।
ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড রয়েছে। তবে এতে ফুলকপির চেয়ে বেশি ক্যালরি আছে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য ফুলকপি বেশ উপকারী। অন্যদিক ব্রকলিতে থাকা ফলিক এসিড হৃদরোগের জন্য ভাল।
এছাড়াও ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে এবং হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। ফুলকপি এবং ব্রকলি-দুটিতেই প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজও রয়েছে। তবে হাড় সুরক্ষায় ব্রকলি বেশি কার্যকরী। এছাড়া আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য হাড় ক্ষয় রোগের জন্যও ব্রকলি বেশি উপকারী।
ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যেমন-এ, সি, কে আছে যা সুষম খাদ্যতালিকা গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে ফুলকপিতে ভিটামিন এ, সি,কে –এর পরিমাণ ব্রকলির চেয়ে কম রয়েছে। ভিটামিন এ চোখের সুরক্ষার জন্য কাযর্করী, ভিটামিন সি হৃৎপিণ্ড ও ত্বক সুরক্ষা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অন্যদিকে ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে হাড়ের সুরক্ষায়ও ভূমিকা রাখে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :