অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনে আহত ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট (বিজি ০৫৮৪) দিয়ে তারা দেশ ছাড়েন। সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল আই সেন্টারে তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন— আব্দুল্লাহ আল বাকী, আকতার হোসেন, মো. ইয়ামিন, ফয়েজ আহমেদ, মিনহাজুল ইসলাম শুভ, মোহাম্মদ রমজান ও সালমান বিন শোয়াইব। এর আগে তারা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জানা গেছে, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে অনেকেই চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন, যার ফলে অনেকে দুই চোখ হারিয়ে অন্ধ হয়ে যান, আবার কারও এক চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অধিকাংশের চিকিৎসা দেশে হয়েছে, তবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজের উদ্যোগে বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। চোখে আঘাতপ্রাপ্তদের জন্য একটি চিকিৎসা বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনেককেই বিদেশে চিকিৎসার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩ জনকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে এবং আরও কয়েকজনকে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে তাদের হাতে ফ্লাইটের টিকিট তুলে দেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহতদের চিকিৎসাবিষয়ক সেলের আহ্বায়ক ডা. মাহমুদা আলম মিতু।
আহতদেরকে ফ্লাইটের টিকিট তুলে দিতে এসে ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে আহতদের চিকিৎসার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে সবসময় খোঁজখবর রাখেন। আমরা দ্রুত আরও কয়েকজন বিদেশ পাঠাবো। আগামী সপ্তাহে খোকনকে রাশিয়ায় নেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহতদের চিকিৎসাবিষয়ক সেলের আহ্বায়ক ডা. মাহমুদা আলম মিতু বলেন, আমরা আহতদের চিকিৎসা বিষয়ক সেল সবসময় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছি। চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছি। আহতরা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা যেকোনো কিছু করতে পারি। যারা সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
একুশে সংবাদ/ঢ.প/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :