টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করেছে জুকারবার্গের থ্রেডস। দুটি অ্যাপেই অনেক ফিচার রয়েছে। তবে ব্যবহারকারীরা ৯টি ফিচার টুইটারে বেশি পাবেন যা থ্রেডসে নেই।
জেনে নিই যে ৯ ফিচার টুইটারে মিললেও পাবেন না থ্রেডসে-
১. শুধু টুইটার ব্যবহারকারীই নন, হ্যাশট্যাগের সঙ্গে এখন কম বেশি সবাই পরিচিত। থ্রেডসে নেই হ্যাশট্যাগ। মেটার অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম অর্থাৎ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে বহু বছর ধরে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার হলেও নেই থ্রেডসে।
২. যেকোনো ওয়েব ব্রাউজারে ব্যবহার করা যায় টুইটার। কিন্তু বর্তমানে সেই সুযোগ নেই থ্রেডসের ক্ষেত্রে। অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে (Threads.net) গেলেও সেখানে মিলবে অ্যাপ ডাউনলোডের অপশন।
৩. কিছুদিন আগেই এডিট অপশন এনেছে টুইটার। অর্থাৎ কোনো কিছু পোস্ট করার পর যদি ইচ্ছে হয় পরিবর্তন করার, সেই সুযোগও রয়েছে। কিন্তু থ্রেডসে মিলবে না সেই সুযোগ। ফলে কোনও ভুল থাকলে পোস্ট মুছে নতুন করে আবার দেওয়া ছাড়া কোনো পথ নেই।
৪. এখানে ডিরেক্ট মেসেজ অর্থাৎ কাউকে ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ পাঠানোর অপশন নেই।
৫. বিকল্প টেক্সট হচ্ছে একটি ছবি বা ভিডিওর বর্ণনা। বেশিরভাগ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের অলটারনেটিভ টেক্সট কাস্টমাইজ করার অনুমতি দেয় কিন্তু থ্রেডস তা করে না। পরিবর্তে এটি বর্তমানে কম্পিউটার তৈরি বিকল্প টেক্সট ব্যবহার করে।
৬. টুইটারের আকর্ষণীয় ফিচারগুলির মধ্যে একটি ট্রেন্ডিং টপিক। ট্রেন্ডিংয়ে নজর রাখলেই আন্দাজ করা যায়, চারপাশের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো কী কী। কিন্তু থ্রেডসে নেই এমন কোনো ফিচার।
৭. থ্রেডসে নেই কোনো বিজ্ঞাপন। জুকারবার্গ জানিয়েছেন, ১ বিলিয়ন ইউজার না হওয়া পর্যন্ত অ্যাড থাকবে না।
৮. বর্তমানে প্রায় সকলেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। যেখানেই গুরুত্বপূর্ণ বহু আপডেট মেলে, তা রাজনীতির হোক বা বিনোদনের। অনেকক্ষেত্রেই ব্লগে এমবেড অর্থাৎ জুড়ে দেওয়া হয় সেই পোস্ট। কিন্তু থ্রেডসের ক্ষেত্রে মিলবে না সেই সুযোগ।
৯. টুইটারে অপশন রয়েছে ক্রোনোলজিক্যাল ফিডের। কিন্তু থ্রেডসে তা নেই। ব়্যানডমভাবে ফিডে আসবে বিভিন্ন আপডেট।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :