কারখানা ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোর ছাদে ২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসানো সম্ভব হলে বছরে বাংলাদেশে এক বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব।ইনস্টিটিউট ফর এনার্জি ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিসের (আইইইএফএ) গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ছাদে সৌরপ্যানেল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে মাত্র ১৬০ দশমিক ৬৩ মেগাওয়াট, যা সম্পূর্ণরূপে অপর্যাপ্ত হয়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাঘাত ঘটায় শিল্প উৎপাদন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে যদি কারখানা ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোর ছাদে ২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুতের প্যানেল বসানো হয়, তাহলে কিছু হলেও স্বস্তি মিলবে।
তাছাড়া শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবনে এই পরিমাণ সক্ষমতা সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা হলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) উপকৃত হতে পারে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ফ্যার্নেস অয়েল ও ডিজেলচালিত প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ কেনার কারণে প্রতি বছর বিপিডিবির বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি হয়।
তাই যদি শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবনের ছাদে ২ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরপ্যানেল বসানো হয়, তাহলে বিপিডিবি বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও কেনা বাবদ ৪৭৬ মিলিয়ন ডলার থেকে ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবে।
গবেষণাটির প্রধান বিশ্লেষক শফিকুল আলম মনে করেন, ভবনের ছাদে সৌরবিদ্যুত উৎপাদনে অর্থনৈতিক সুবিধা স্পষ্ট। ব্যাটারি স্টোরেজ সুবিধা ছাড়া এক মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুতের লেভেলাইজড কস্ট অব এনার্জি (এলসিওই) হিসাব করা হয়েছে প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টা ৫ টাকা।
যেখানে শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য বিদ্যুৎ বিল দিতে হয় যথাক্রমে ৯ টাকা ৯০ পয়সা ও ১০ টাকা ৫৫ পয়সা। অর্থাৎ, শিল্প ও বাণিজ্যিক ভবনে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করলে প্রতি ইউনিটের বিপরীতে দৈনিক একটি নির্দিষ্ট সময়ে ৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৫৫ পয়সা সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
একুশে সংবাদ/এএইচবি/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :