বহু দিন ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়ে নিউরোসায়েন্সের ক্ষেত্রে এক দারুণ উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা। সিডনি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির গ্রাফেনেক্স ইউটিএস হিউম্যান সেন্ট্রিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের গবেষকরা একটি পোর্টেবল হেলমেট ডিজাইন করেছেন। এই হেলমেটই মানুষের মনে চলতে থাকা ভাবনা পড়তে এবং লিখতে পারে। এটিই বিশ্বের প্রথম হেলমেট, যা মন ও মস্তিষ্ক উভয়ই পড়তে পারে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের।
মাইন্ড রিডিং হেলমেটটি তৈরি করার উদ্দ্যেশ্য হলো, এমন মানুষদের সাহায্য করা, যারা অসুস্থতাজনিত কারণে কারও সঙ্গে মনের কথা যথাযথভাবে বলতে পারে না। যেমন প্যারালাইসিস বা স্ট্রোকের রোগী। এ ছাড়াও বিজ্ঞানীদের মতে এটি মানুষ এবং যন্ত্রের মধ্যে ভালো যোগাযোগ স্থাপন করবে। এটি ভবিষ্যতে রোবট এবং বায়োনিক অস্ত্র ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে জানা যায়, এই হেলমেটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিজ্ঞানীরা কিছু মানুষকে বেছে নিয়েছিলেন। সেই সময় অংশগ্রহণকারীরা তাদের মাথায় এই হেলমেটটি পরে এবং বই থেকে কিছু পড়তে শুরু করেছিল। হেলমেটটি একটি ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রামের সঙ্গে লাগানো ছিল, যা ইইজি নামেও পরিচিত। এটি মাথার ত্বকের মাধ্যমে মস্তিষ্কে চলমান বৈদ্যুতিক কার্যকলাপকে ক্যাপচার করে তা লিখতে পারে।
যখনই একজন ব্যক্তি কিছু বিষয়ে চিন্তা করা শুরু করে, তখন হেলমেটে থাকা সেন্সরগুলো কাজ শুরু করে। হেলমেটটি মস্তিষ্কের তরঙ্গ রেকর্ড করে এবং তা টেক্সটে রূপান্তর করে। এভাবেই জানা যায় সেই ব্যক্তির ব্যক্তির মনে কী ভাবনা চলছিল। এরই মধ্যে এই আবিষ্কারে অনেক সুফল পাওয়া গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :