তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্টআপ কোম্পানি ‘গ্যাস মাঙ্কি’ এলপিজি সিলিন্ডার হোম ডেলিভারি দিচ্ছে। মোবাইলে ফোনের অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস অ্যাপের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত দামে এলপিজি সিলিন্ডারের অর্ডার করা যাবে।
গ্রাহক তার কাঙ্ক্ষিত ব্র্যান্ডের এলপিজি সিলিন্ডার পছন্দ করতে পারবেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে হোম ডেলিভারি ও সিলিন্ডার সেটআপ করে দিচ্ছে ‘গ্যাস মাঙ্কি’। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশে এলপিজি শিল্প গত ১০ বছরে ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে আরও ১০ গুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে গড়ে প্রতি মাসে ৯০ লাখ সিলিন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে এলপিজি গ্যাসের ভোক্তারা ব্র্যান্ড বেছে নেওয়ার পর্যাপ্ত সুযোগ পান না, গ্রাহকরা সঠিক পণ্যের সঠিক মূল্য সম্পর্কে সচেতন নন। এমনকি এই ব্যবসার সঙ্গে যারা সরাসরি জড়িত তারাও এ খাতের গ্রাহকের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে না। এ ক্ষেত্রে দেশের একমাত্র মোবাইল অ্যাপ-ভিত্তিক এলপিজি সিলিন্ডার ডেলিভারি প্রতিষ্ঠান গ্যাস মাঙ্কি সঠিক মূল্য, নির্ভরযোগ্য পণ্য দ্রুত পৌঁছে দেয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
এই অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা এক ক্লিকে পণ্য অর্ডার করতে পারেন, তাদের পছন্দের ব্র্যান্ড বেছে নিতে পারেন, সঠিক দাম সম্পর্কে অবগত হবেন, দ্রুততম সময়ে ডেলিভারি পাবেন, বিস্ফোরক পণ্য বহন করার ঝামেলা এবং ঝুঁকি এড়াতে পারেন, শুধু পণ্য নয়; সেবাও নিতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে সেবা দিচ্ছে এবং শিগগির সমগ্র বাংলাদেশে এলপিজি সিলিন্ডার হোম ডেলিভারি দেবে।
এ বিষয়ে গ্যাস মাঙ্কির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) খন্দকার এরশাদ জাহান বলেন, বর্তমানে এলপিজি ব্যবহারকারীরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের পছন্দমতো পণ্য বা সেবা পান না। খুচরা বিক্রেতারা যখন যেই সিলিন্ডার তাদের হাতের কাছে থাকে বা যেটাতে তাদের লাভ বেশি সেইটাই গ্রাহকদের নিতে বাধ্য করেন। আমরা এই প্রথা ভাঙতে চাই, গ্রাহকের সেবা নিশ্চিত করতে চাই। তিনি বলেন, আমরা অ্যাপস, ওয়েবসাইট ও কল-সেন্টারের মাধ্যমে গ্রাহক সেবা দিচ্ছি। যারা আমাদের সেবা নিচ্ছেন তাদের ৫৫ শতাংশই পুনরায় আমাদের থেকে সেবা নিচ্ছে। ‘গ্যাস মাঙ্কি’ প্রতিষ্ঠার প্রথম বছরেই ১০ হাজার গ্রাহক সেবার মাইলফলক স্পর্শ করেছে। আমরা আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশের ১০ শতাংশ এলপিজি ব্যবহারকারীকে আমাদের এই সেবার আওতায় আনতে পারবো।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :