আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) মানুষের জীবনধারাকে সহজ করে তুললেও এটি সভ্যতার জন্য বড় ঝুঁকি বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
পলক বলেন, প্রযুক্তির এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়, বিশেষ করে এআইয়ের বিরূপ প্রভাব সামলাতে সরকার আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের ২০ এমবিপিএস গতিকে ব্রডব্যান্ড হিসেবে সংজ্ঞায়িত করতে এবং ইন্টারনেট সহজলভ্য ও সুলভ করতে ২০২৪ সালের মধ্যেই নতুন ব্রডব্যান্ড নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৫ বছর আগে দেশে আইটি খাতে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা (আইটি) রপ্তানি খাতে একটি বড় মাইলফলক ছুঁয়েছে। এ খাতের ৪০০ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বের ৮০ দেশে বাংলাদেশ ডিজিটাল সেবা রপ্তানি করছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম আমিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইও ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেন। দিবসটি উদযাপনে আয়োজিত রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনি। পরে প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মোবাইল অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের মধ্যে অ্যাকটিভ নেটওয়ার্ক স্মারক সই হয়।
একুশে সংবাদ/জা.নি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :