মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করেন। আর প্রতিদিনই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ, ব্যক্তিগত কথাবার্তা, ছবি, ভিডিও বা অডিওর আদান-প্রদান হয়। কিন্তু সমস্যা হল, হোয়াটসঅ্যাপে যার সঙ্গেই কথা বলুন না কেন, সেই মেসেজগুলো থেকে যাবে প্রোফাইলেই।
ফলে কেউ আপনার প্রোফাইল খুলে ফেললে,সেইসব ব্যক্তিগত কথোপকথন আড়ালে রাখা যাবে না। আবার অনেক সময়ে, কাজের জায়গায় হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব খুলে রাখতে হয়। ফলে তখনও ব্যক্তিগত চ্যাট আড়াল করার উপায় থাকে না। আপনার গোপনীয় তথ্য, ব্যক্তিগত কথাবার্তা সুরক্ষিত না রাখতে পারলে, প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। তাহলে উপায়?
হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট গোপন রাখার উপায়গুলো জেনে নিন-
১ হোয়াটসঅ্যাপে এখন ‘ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ’ নামে একটি অপশন আছে। সেটি অন করে রাখুন। তাহলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর মেসেজ উধাও হয়ে যাবে। যদি মনে হয় কেউ আপনার ব্যক্তিগত চ্যাটে নজরদারি চালাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে এই অপশনটি চালু করে দিন।
২. অবশ্যই ‘এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন’ ফিচার চালু রাখতে হবে। এর সুবিধা হল, আপনি যাকে মেসেজ পাঠাচ্ছেন তিনি ছাড়া আর কেউ সেই কথোপকথনের নাগাল পাবে না। তাই আপনার ব্যক্তিগত ও গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
৩. হোয়াটসঅ্যাপে ‘চ্যাট ব্যাকআপ’ ফিচারটি চালু রাখুন ও সেটিও এনক্রিপ্ট করে রাখুন। অনেকেই জানেন না যে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের যে ব্যাকআপ সংরক্ষণ করা হয় সেটি গুগল বা ক্লাউড স্টোরেজে হয়, যেখান থেকেও তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি থাকে।
৪. চ্যাট লক অপশনটিও কাজে লাগাতে পারেন। যদি বিশেষ কোনও চ্যাট গোপন রাখতে চান, তাহলে সেটি লক করে রাখুন। আবার যদি মনে হয় আপনার ফোনটি হ্যাক করা হয়েছে, তাহলে দ্রুত চ্যাট লক অপশন চালু করে দিন। পাসওয়ার্ড কিংবা বায়োমেট্রিকের মাধ্যমেও সেই চ্যাট লক করা যাবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত চ্যাট আনলক করা হচ্ছে, ততক্ষণ সেগুলো গোপনেই থাকবে।
৫.হোয়াটসঅ্যাপে আসা স্প্যাম কল ব্লক করে দিন। এই সব ফোন কলের মাধ্যমেই মোবাইল হ্যাক করে ফেলার চেষ্টা করে সাইবার অপরাধীরা। ‘সাইলেন্স আননোন কল’ নামে একটি অপশন আছে হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে, সেটি চালু করে রাখলে নিরাপদে থাকবেন।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :