AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করল ইলন মাস্কের এক্স


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৯:৫৫ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৫
ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করল ইলন মাস্কের এক্স

ভারত সরকারের বিরুদ্ধে দেশটির কর্ণাটক হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বের টুইটার)। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সরকারের বিরুদ্ধে এক্সের অভিযোগ, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের (আইটি অ্যাক্ট) অপব্যবহার করে বেআইনিভাবে কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশটির বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) আজ (বৃহস্পতিবার) এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারত সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের (আইটি অ্যাক্ট) ৭৯(৩)(খ) ধারাটি ব্যবহার করে অনলাইন কনটেন্টের ওপর ‘অবাধ সেন্সরশিপ’ চালাচ্ছে বলে মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেছে এক্স। তাঁদের যুক্তি অনুযায়ী, কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে যথাযথ ও বিধিসম্মত আইনি প্রক্রিয়া হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারাটি অনুসরণ করা।

ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন, ২০০০-এর ৬৯এ ধারাতে কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে বিস্তারিত প্রক্রিয়ার উল্লেখ আছে। পাশাপাশি অনলাইন কনটেন্টের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনারও সুযোগ রয়েছে এতে। ফলে আইনের এই ধারায় সরকার চাইলেই ইচ্ছেমতো অনলাইন কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। ২০১৫ সালে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত (সুপ্রিম কোর্ট) শ্রেয়া সিঙ্গাল মামলার রায়ে এই ধারাটির উল্লেখ করেছে।

কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে তাই মোদি সরকার ৬৯এ ধারাটির পরিবর্তে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩)(খ) ধারাটি ব্যবহার করছে বলে দাবি এক্সের। তাঁরা বলছে, ৭৯(৩)(খ) ধারাটির যথেচ্ছ ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতে তথ্যের ওপর ব্যাপক ও অবাধ সেন্সরশিপ চলবে। কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই ধারাটির ব্যবহার বেআইনি উল্লেখ করে তাঁরা জানাচ্ছে যে, এটি সরকারকে খেয়ালখুশি মতো সেন্সরশিপের সুযোগ করে দেয়।

উল্লেখ্য, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩)(খ) ধারা অনুযায়ী, সরকারি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কোনো প্ল্যাটফর্ম যদি নির্দিষ্ট একটি কনটেন্ট না সরায়, কিংবা ব্লক না করে, তাহলে প্ল্যাটফর্মটি ‘সেফ হারবার’ নামে পরিচিত আইনি সুরক্ষা হারাবে। অর্থাৎ কনটেন্টটির দায়ভার তখন প্ল্যাটফর্মের ওপর বর্তাবে। তবে এক্সের যুক্তি হচ্ছে, এই ধারাটি সরকারকে কনটেন্ট ব্লক করার ক্ষমতা দেয় না এবং ৬৯এ ধারাকে এড়ানোর জন্যেই ৭৯(৩)(খ) ধারাটির অপব্যবহার করছে সরকার।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩)(খ) ধারাতে কনটেন্ট ব্লক করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মের উল্লেখ নেই, যেমনটা আছে ৬৯এ ধারাতে। ফলে ৭৯(৩)(খ) ধারা অনুসরণে কোনো অনলাইন কনটেন্ট ভালোভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই সেন্সরশিপের শিকার হতে পারে।

এক্স বলছে যে, সরকারের এমন পদক্ষেপের কারণে ভারতে তাঁদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেননা তাঁদের মুনাফা অর্জন ব্যবহারকারীদের আইন মেনে তথ্য শেয়ার করার ওপর নির্ভরশীল। সরকার এভাবে ইচ্ছেমতো কনটেন্ট ব্লক করার নির্দেশ দিলে তাঁদের প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীদের আস্থা নষ্ট হবে।

ভারত সরকারের সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (১৪সি) কর্তৃক পরিচালিত ‘সাইয়োগ’ নামের অনলাইন পোর্টালে যুক্ত হতেও আপত্তি জানিয়েছে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্স। এই পোর্টালটি তৈরি করা হয়েছে মূলত তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯(৩)(খ) ধারায় প্রদান করা সরকারি নির্দেশনাগুলোকে কেন্দ্রীয়ভাবে ম্যানেজ করার জন্য।

তবে এক্স এটিকে ‍‍`সেন্সরশিপ পোর্টাল‍‍` নামে অভিহিত করেছে। তাঁরা বলছে, এই সিস্টেমে আলাদা কর্মী নিয়োগ করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করার কোনো আইনি ভিত্তি নেই ভারত সরকারের। এক্সের দাবি অনুযায়ী, ২০২১ সালের তথ্যপ্রযুক্তি নির্দেশিকায় বিদ্যমান নিয়মগুলোর সবই তাঁরা মেনে চলছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ আদালতের এক শুনানিতে বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন এক্স-কে বলেছেন যে, সরকার যদি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাহলে তাঁরা যেন পুনরায় আদালতের দ্বারস্থ হয়। সরকার অবশ্য জানিয়েছে যে, ‘সহযোগ’ পোর্টালে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক্সের বিরুদ্ধে আপাতত কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে না তাঁরা।

কর্ণাটক হাই কোর্টে করা এক্সের মামলায় প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। তাঁরা বলছে, মন্ত্রণালয় সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়, রাজ্য ও পুলিশকে কনটেন্ট ব্লক করার জন্য আলাদা ব্যবস্থা তৈরি করতে উৎসাহ দিচ্ছে। প্রমাণ হিসেবে রেলওয়ে মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঠানো কনটেন্ট ব্লক করার নির্দেশের উদাহরণ দিয়েছে এক্স।

তথ্যসূত্র: প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়া টুডে, লাইভ মিন্ট, এনডিটিভি

 

একুশে সংবাদ/ই.ট/এনএস

Link copied!