বিশ্বখ্যাত সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস প্রকাশিত থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫-এ উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোট ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে রয়েছে, বিশেষ করে ফায়ারওয়াল, রাউটার ও ভিপিএন-এর মতো এজ ডিভাইস থেকে সাইবার হামলার প্রবণতা বাড়ছে।
সফোসের গবেষণায় দেখা যায়, মোট সাইবার হামলার প্রায় ৩০ শতাংশই এজ ডিভাইসের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে সংঘটিত হয়েছে। বিশেষ করে রাউটার ও ভিপিএন সার্ভারের নিরাপত্তা ফাঁকই এই হামলাগুলোর প্রবেশপথ হয়েছে।
২৫ শতাংশ হামলা শুরু হয়েছে শুধুমাত্র ভিপিএন ব্যবহারের মাধ্যমে, যার মধ্যে অধিকাংশই র্যানসমওয়্যার ও তথ্য চুরি ছিল।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, মাঝারি প্রতিষ্ঠানের ৯০ শতাংশ এবং ছোট প্রতিষ্ঠানের ৭০ শতাংশ-ই র্যানসমওয়্যার হুমকির শিকার হয়েছে বা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
সফোসের থ্রেট রিসার্চার শন গ্যালাগার বলেন,“সাইবার অপরাধীদের এখন আর নিজস্ব ম্যালওয়্যার বানানোর প্রয়োজন নেই। তারা প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সিস্টেম বা এজ ডিভাইসগুলো ব্যবহার করেই হামলা করছে। ফলে হামলা দ্রুত হচ্ছে এবং শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ছে।”
প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে যে, ফিশিং, অ্যাডভারসারি-ইন-দ্য-মিডল (AITM), এবং অথেন্টিকেশন টোকেন চুরি এখন সবচেয়ে ব্যবহৃত কৌশল। এসবের মাধ্যমে মাল্টিফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (MFA) ব্যবস্থাও ফাঁকি দিচ্ছে হামলাকারীরা।
সাম্প্রতিক কৌশলগুলোর মধ্যে রয়েছে:
কুইশিং (QR কোড প্রতারণা)
ভিশিং (ফোন/মেসেজ প্রতারণা)
ইমেল বোম্বিং (স্বল্প সময়ে হাজারো স্প্যাম মেইল পাঠানো)
এই কৌশলগুলো ব্যবহার করে সাইবার অপরাধীরা শুধু ব্যক্তিগত তথ্য নয়, কর্পোরেট ও আর্থিক তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে।
সফোস-এর পরামর্শ—ম্যানেজড ডিটেকশন অ্যান্ড রেসপন্স (MDR) ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, এজ ডিভাইসের নিরাপত্তা আপডেট রাখা এবং MFA ব্যবস্থার উন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়তে সফোস থ্রেট রিপোর্ট ২০২৫ ভিজিট করুন।
একুশে সংবাদ//এস.কে//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :