শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১,৬০০ ছাড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানান, উদ্ধার সরঞ্জামের অভাবে খালি হাতেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের বের করার চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে দেশটি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মান্দালয় শহর, যেখানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের বসবাস।
উদ্ধার কার্যক্রমে চরম বাধা
সরঞ্জামের অভাব, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সড়ক-সেতু ধসে পড়া—এসব কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সংস্থা (OCHA) জানিয়েছে, ইয়াঙ্গুন-নাইপিদো-মান্দালয় মহাসড়কের ফাটল ও বিকৃতির কারণে পরিবহন ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে।ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ ইট-পাথর সরিয়ে কংক্রিটের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার করছে।
ক্ষয়ক্ষতির ভয়াবহ চিত্র
মান্দালয়ের ১২ তলা ভবন ধসের ৩০ ঘণ্টা পর এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রেড ক্রসের মতে, এখনো ৯০ জন আটকে আছেন।একটি কিন্ডারগার্টেন ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১২ শিশু ও এক শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।হাসপাতালগুলো লাশ রাখার জায়গার সংকটে পড়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ভূমিকম্পের আঘাত
২০২১ সালে ক্ষমতা দখলকারী সামরিক জান্তা দেশটির নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে হারিয়েছে।ভূমিকম্পের মধ্যেও জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ওপর বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক টম অ্যান্ড্রুজ সেনাবাহিনীর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক সহায়তা এখনো পৌঁছেনি
সামরিক জান্তা বিরলভাবে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে, কিন্তু এখনো তা পৌঁছায়নি।মান্দালয় বিমানবন্দর অচল এবং সাগাইংয়ের সেতু ধসে পড়ায় উদ্ধারকারী দলগুলোর পক্ষে দ্রুত পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, উদ্ধার কাজে দেরি হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।
একুশে সংবাদ//জা.নি/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :