যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা মিত্ররা। এসব অভিযোগ আমলে নেননি পুতিন। তবে সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এবার রুশ প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।
আমলে নেয়া হয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ ও শিশুদের অবৈধভাবে রাশিয়া নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে পুতিনের দপ্তরের শিশু অধিকার বিষয়ক কমিশনার মারিয়া আলেক্সেভনা লোভা-বেলোভার বিরুদ্ধেও।
পরোয়ানা জারি করলেও পুতিনকে গ্রেপ্তারে আইসিসির আদেশ বাস্তবায়নে নেই কোনো বাহিনী। এছাড়া এমন আদেশ কেবল সেসব দেশের জন্যই প্রযোজ্য যারা আদালত গঠনের চুক্তিতে সই করেছিল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত-আইসিসির প্রেসিডেন্ট পিওর হোফম্যানস্কি বলেন, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আইনের আদালত হিসেবে আইসিসি শুধু নিজের অংশের কাজটুকু করেছে। এটি কার্যকর করা নির্ভর করে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, আইসিসির পদক্ষেপ তাদের জন্য কোন অর্থ বহন করে না। কারণ আদেশ মানতে বাধ্য না রাশিয়া।
এদিকে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ন্যায়সংগত বলে মন্তব্য করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ন্যায়সংগত কাজ। এর অত্যন্ত শক্তিশালী তাৎপর্য রয়েছে। এ সময় বাইডেন মনে করিয়ে দেন, তার দেশ আইসিসির সদস্য নয়।
ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেল অ্যান্ড্রি কোস্টিনও। একে মানবতার পক্ষে ঐতিহাসিক আদেশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদিকে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক উদ্যোগ। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্বের সূচনা ঘটবে।
একুশে সংবাদ.কম/আ.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :