ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর দাবি করেছেন, লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তের পরিস্থিতি ভালো নয়। তার দাবি, সীমান্তের বেশ কিছু অংশে চীন এবং ভারতের সেনাবাহিনী পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে।
শনিবার (১৮ মার্চ) একটি ইংরেজি সংবাদমাধ্যম আয়োজিত আলোচনাসভায় জয়শংকর বলেন, ‘আমার মতে লাদাখ সীমান্তের পরিস্থিতি এখনো ভয়ংকর অবস্থায় রয়েছে।’ মন্ত্রীর এই দাবিতে চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে।
২০২০ সাল থেকে বারবারই উত্তপ্ত হয়েছে ভারত-চীন সীমান্ত। গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চীনের সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সে ঘটনায় ২০ জন ভারতীয় সেনা এবং ৪০ জনেরও বেশি চীনা সেনার মৃত্যু হয়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল লাদাখ সীমান্ত। তবে সেবার কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। দুই দেশের মাঝে থাকা ম্যাকমোহন লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমানা হিসেবে কখনোই স্বীকার করেনি চিন। চীনের বিরুদ্ধে একতরফাভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছে ভারত। গত ডিসেম্বরের ওই ঘটনার পর অবশ্য কূটনৈতিক স্তরে আবার দুই দেশ আলোচনা শুরু করে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উন্নত করার চেষ্টা করা হয়।
এদিকে শুক্রবারই ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডে জানান, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি করছে চীন। দ্রুতগতিতে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন পরিকাঠামো। কমানো হয়নি পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সেনাসংখ্যাও। তবে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সৈন্যরাও।
সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘সামগ্রিকভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তবে আমাদের খুব ভালোভাবে পুরো বিষয়টির দিকে নজর রাখতে হবে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্র মজুদ রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি এবং অস্ত্র আমদানি করতে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। একইভাবে আমরাও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছি। বিশেষ করে নতুন নতুন রাস্তা এবং হেলিপ্যাড তৈরির ক্ষেত্রে।’
চীন সীমান্ত নিয়ে সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ‘উদ্বেগকে’ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/য/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :