সরকারি কর্মকর্তাদের বিনোদনের জন্য টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষিদ্ধ করেছে ফ্রান্স সরকার। তবে, এই নিষেধাজ্ঞার তথ্য টুইটারেই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার (২৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।
প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, বিনোদনের জন্য টিকটক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ফ্রান্স। এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য গৃহীত হবে। এর ফলে, সরকারি কর্মকর্তাদের মোবাইল ফোনে কোনো ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকতে পরবে না। তথ্য চুরির উদ্বেগের মধ্যেই ফ্রান্স সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে শুক্রবার টুইটারে এক পোস্ট দিয়েছে ফ্রান্সের সিভিল সার্ভিস মন্ত্রণালয়। পোস্টে তারা জানায়, সরকারি কর্মকর্তাদের এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে ওই দপ্তরের মন্ত্রী স্ট্যানিসলাস গুয়েরিনি এক টুইটে লেখেন, ‘আমাদের প্রশাসন ও সিভিল সার্ভেন্টদের সাইবারসিকিউরিটি নিরাপদ করতে সরকার টিকটকের মতো অ্যাপগুলো নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
গুয়োরিনি আরও লেখেন, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় এবং আন্তর্জাতিক অংশীদার চীনা মালিকানাধীন ভিডিও-শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক ডাউনলোড এবং ইন্সটল করা বা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’
ফ্রান্সের এই মন্ত্রীর মতে, বিনোদনমূলক অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে সাইবার সুরক্ষা এবং ডেটা সুরক্ষা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত থাকে না। এ কারণে প্রশাসনের লোকদের জন্য এসব অ্যাপ ব্যবহার করা নিরাপদ না।
সর্বশেষ কয়ের সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েকটি সরকার ও প্রতিষ্ঠান চীনা অ্যাপ টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, হোয়াইট হাউস, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট, ডাচ ও বেলজিয়াম প্রশাসন, নিউজিল্যান্ড পার্লামেন্ট, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, তাইওয়ান ও জর্ডান সরকার। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সব তথ্য নিয়ে নিতে পারে চীন সরকার।
একুশে সংবাদ.কম/এ.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :