ভারতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে এমপি পদ থেকে অযোগ্য ঘোষণার প্রতিবাদে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করছে তার সমর্থকরা।
সোমবার (২৭ মার্চ) পার্লামেন্টের ভেতরও বিক্ষোভ হয়েছে। এতে পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত করা হয়। খবর ডয়েচে ভেলের
গত শুক্রবার রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণার পর অনেকেই সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার প্রথম অধিবেশনে কালো পোশাক পরেছিলেন।
অধিবেশনের আগে কংগ্রেস এমপি প্রমোদ তিওয়ারি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার জন্য অভিযোগ তোলেন। তিওয়ারি বলেন, ‘যখন আমরা সংসদে কথা বলি, তারা তখন কার্যক্রম চালাতে দেয় না। আমরা যখন বাইরে কথা বলি, তারা দলের নেতাদের অযোগ্য ঘোষণা করে দেয়।’
এদিকে ভারতের পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করার পর শুক্রবার এর প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস-নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, `আমি ভারতের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করে এসেছি। এ জন্য আমি যেকোনো মূল্য দিতে প্রস্তুত।`
মানহানির মামলায় ২ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার এক দিনের মাথায় লোকসভায় অযোগ্য ঘোষণা করা হয় রাহুল গান্ধীকে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মানহানির মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার গুজরাটের সুরাটের একটি আদালতে ৫২ বছর বয়সী রাহুল দোষী সাব্যস্ত হন। তাকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। তবে আদালত রাহুলকে ৩০ দিনের জামিন এবং আপিল করার সুযোগ দেন। এরপর শুক্রবার দুপুরে রাহুলকে অযোগ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে লোকসভা সচিবালয়।
এ ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিক্ততা ভুলে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘যেখানে অপরাধের ইতিহাস থাকা বিজেপির নেতারা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন, সেখানে বিরোধী নেতাদের বরখাস্ত করা হচ্ছে ভাষণ দেওয়ার অপরাধে। এ ঘটনায় আজ গণতন্ত্র নতুন নীচতায় নামল।’
একুশে সংবাদ/য/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :