যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের জন্য আমি দায়ী। তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে আমি প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ইউক্রেনকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তির জন্য চাপ দিয়েছিলাম। আর এ জন্য এখন আমি দুঃখিত।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সাবেক প্রেসিডেন্ট গত মঙ্গলবার আইরিশ সংবাদ সংস্থা আরটিইর সঙ্গে কথা বলেছেন।
সে সময় তিনি এই দুঃখ প্রকাশ করেন। বিল ক্লিনটন বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে ইউক্রেনের এই দুর্ভাগ্যের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে জড়িত। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে ইউক্রেনকে আমি চাপ দিয়েছিলাম। দেশটি এখন পুতিনের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য লড়াই করছে। ’
বিল ক্লিনটন দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিয়েভ যদি আজ পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত থাকত, তাহলে রাশিয়া ২০১৪ সালে কিংবা ২০২২ সালে আক্রমণ করার কথা ভাবত না। ’
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ইউক্রেনে থাকা পারমাণবিক অস্ত্র অপসারণ করতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, রুশ প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিওনিদ ক্রাভচুক ত্রিপক্ষীয় বৈঠক করেছিলেন। ওই বছরের শেষের দিকে বুদাপেস্ট মেমোরেন্ডামে ইউক্রেন নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হয়।
নিজেকে অদূরদর্শী উল্লেখ করে বিল ক্লিনটন বলেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে এ বিষয়টিরও উল্লেখ ছিল যে রাশিয়া ইউক্রেনের সীমানা ও স্বশাসনের অধিকারকে সম্মান করবে। আমি ভেবেছিলাম রাশিয়া চুক্তিটি মেনে চলবে। কিন্তু ২০১৪ ও ২০২২ সালে আক্রমণের মধ্যে দিয়ে রাশিয়া সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। আমার ভাবনাটা অদূরদর্শী ছিল। ’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের এমপি অলেক্সি গনচারেঙ্কো ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে ১৯৯৪ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, সেই চুক্তিকে বাকি বিশ্ব সম্মান দেখায়নি। ওই চুক্তির গ্যারান্টি এখন কোথায়? আমাদের এখন বোমা মেরে হত্যা করা হচ্ছে। ’
একুশে সংবাদ.কম/ন.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :