প্রায় দেড় মাস আগে নতুন সরকার গঠন করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম দেশ কুয়েত। এবার দেশটির নবগঠিত পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিল কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স। সোমবার এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন তিনি। খবর আল জাজিরার।
সরকার গঠনের দেড় মাসের মধ্যে ভেঙে গেল কুয়েতের সরকার ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে কুয়েতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল আল আহমেদ আল সাবাহ আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচনের ঘোষণাও দিয়েছেন।
কুয়েতের পার্লামেন্টের মোট আসন ৭৬টির মধ্যে ৫০টি নির্বাচিত এমপিদের জন্য, বাকি ১৬টি আসনের এমপিরা নিয়োগ পান আমিরের সুপারিশে।
২০২০ সালের নির্বাচনের পর থেকে দেশটির পার্লামেন্টের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয় নির্বাহী বিভাগ তথা দেশটির আমিরের। সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজেদের অংশগ্রহণের পরিধি আরো বিস্তৃত করতে চান সংসদ সদস্যরা, তা থেকেই এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটে।
উল্লেখ্য, কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল আহমেদ আল-সাবাহ ২০২১ সালে নিজের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ মেশাল আল আহমেদ আল-সাবাহকে দেশের ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করে রাষ্ট্র পরিচালনা সংক্রান্ত অধিকাংশ দায়িত্ব তার ওপর অর্পণ করেন। তবে তা সত্ত্বেও পার্লামেন্ট ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে সম্পর্কে তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
কুয়েতে পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা প্রচলিত থাকলেও দেশটিতে কোনো রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। দেশটির সংবিধানে রাজনৈতিক দল গঠন নিষিদ্ধ রয়েছে। যারা নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাদের প্রায় সবাই দেশটির অভিজাত সম্প্রদায়ের; যাদের একটি অংশ আবার আমির বিরোধী।
ক্রাউন প্রিন্স শেখ মেশাল ডিক্রিতে বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছে অনুযায়ী এই ডিক্রি জারি করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, সামনের নির্বাচনের পর দেশে কাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক সংস্কার সম্ভব হবে। এবং কুয়েতের সরকারব্যবস্থা একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করবে।’
একুশে সংবাদ/ঢ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :