পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তার বৈধ বলে সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। তবে আদালত অবমাননার অভিযোগে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে নোটিশ্ও দেয়া হয়েছে।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ও দ্য ডনের প্রতিবেদন এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
গতকাল (৯ মে) বিকেলে ইসলামাবাদে হাইকোর্টের বাইরে থেকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পর এই ঘোষণা দেয় আদালত।
আদালতের এমন সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করে ইমরান খানের আইনজীবী ফয়সাল ফরিদ চৌধুরী বলেন, `গ্রেপ্তার বৈধ ঘোষণা করেছে আদালত। পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য আমরা দলের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করছি।’
এ ঘটনায় আদালতের রেজিস্ট্রারকে ১৬ মে এর মধ্যে ঘটনার তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইনজীবী এবং আদালতের কর্মীদের মারধর এবং আদালতের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়।
ইমরান খানকে মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট-এর প্রাঙ্গণ থেকে থেকে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় ইমরানকে হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার মাথা ও পায়ে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। তার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পাকিস্তান।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারন্টে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
অন্যদিকে নেটব্লক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর টুইটার, ফেসবুক এবং ইউটিউব ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
দুই মামলায় আগাম জামিন নিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে হাজির হন ইমরান খান। এ সময় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করে দেশটির রেঞ্জার্স বাহিনী।
ইমরান খানকে আদালত প্রাঙ্গন থেকে গ্রেপ্তার করতে গেলে তার সমর্থন বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এরপর সংঘর্ষ এড়াতে কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে।
এদিকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর পাকিস্তানের বিভিন্ন রাজ্যে আন্দোলন শুরু হয়। পিটিআই নেতারা আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তানকে অচল করে দেয়ার হুমকি দেন।
সূত্র: এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, দ্য ডন
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :