আটলান্টিক মহাসাগরের অতল গভীরে নিখোঁজ সেই সাবমেরিনের পাঁচ আরোহী সবাই হয়তো এতক্ষণে মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে অক্সিজেনের অভাবের পাশাপাশি হাইপোথার্মিয়া বা কার্বন ডাই অক্সাইডের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হতে পারে। খবর মিরর অনলাইনের।
এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ডুবোযানটির সাবেক কমান্ডিং অফিসার অ্যান্ডি কোলস। তিনি বলেন, ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেনের মজুত থাকলেও ওই সাবমার্সিবলের যাত্রীরা এরই মধ্যে মারা যেতে পারেন।
রবিবার পাঁচ আরোহী নিয়ে নিখোঁজ যানটিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় দুপুর পর্যন্ত চলার মতো অক্সিজেন অবশিষ্ট থাকার কথা। তবে সাবেক এই কমান্ডিং অফিসার অ্যান্ডি কোলস বলেছেন, আরোহীরা ইতোমধ্যে হাইপোথার্মিয়া বা কার্বন ডাই অক্সাইডের বিষক্রিয়ায় মারা গিয়ে থাকতে পারেন। এরই মধ্যে উদ্ধার অভিযান জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই আরোহীসহ ডুবোযানটি উদ্ধার করতে দীর্ঘ এই সময় লাগতে পারে বলেও উল্লেখ করেন অ্যান্ডি কোলস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিররকে তিনি জানিয়েছেন, “আমি মনে করি না যে ডুবোযানটিতে কার্বন ডাই অক্সাইড পরিশোধন এবং বাতাসকে পুনরায় সঞ্চালনের কোনও ব্যবস্থা আছে।”
তাই তারা সম্পূর্ণরূপে দমবন্ধ না হওয়ার আগেই সম্ভবত ঘুমন্ত বা অচেতন অবস্থায় চলে গেছেন। অন্য যে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে তা হল তিন হাজার ৮০০ মিটার নিচে সমুদ্রের তলদেশ অবিশ্বাস্য রকমের ঠাণ্ডা। তারা সম্ভবত সেখানে কোনও শক্তি এবং আলো পায়নি। কারণ যদি যানটিতে কোনও যান্ত্রিক শক্তি থাকত, তাহলে তারা সমুদ্রের উপরিভাগে উঠে আসার চেষ্টা করত।”
একুশে সংবাদ/য/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :