রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ দমনে চেচেন যোদ্ধারা প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন চেচেন নেতা কমান্ডার রমজান কাদিরভ। তিনি বলেছেন, এজন্য তার সেনারা প্রয়োজনে ‘কঠিন উপায়’ অবলম্বনেও প্রস্তুত। খবর রয়টার্সের।
যে ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠিয়েছিল, সেই বাহিনীরই সশস্ত্র বিদ্রোহের মুখে পড়েছে দেশটি। শুক্রবার (২৩ জুন) অনেকটা আকস্মিকভাবেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রিগোজিন।
একাধিক টেলিগ্রাম বার্তায় ৬২ বছর বয়সী প্রিগোজিন বলেন, তার যোদ্ধারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছে। তবে এটাকে তিনি অভ্যুত্থান বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ওয়াগনার যোদ্ধারা রাশিয়ার রোস্তভ-অন-ডন শহরে ঢুকে পড়েছে এবং এর বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা দখলে নিয়েছে। এই এলাকার অধিবাসীদেরকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার (২৪ জুন) রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা এখন রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ‘বিদ্যুতের গতি’তে এগোচ্ছে। এরই মধ্যে অর্ধেক পথ পার হয়ে রাজধানীর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে তাদের একটি বহর।
এদিকে ওয়াগনার বাহিনীর এই বিদ্রোহের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ভাড়াটে বাহিনীকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ অভিহিত করে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
এমন পরিস্থিতিতে ওয়াগনার বাহিনীর বিদ্রোহ দমনে পুতিনের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন চেচেন নেতা রমজান কাদিরভ। শনিবার (২৪ জুন) টেলিগ্রাম বার্তায় পুতিনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রিগোজিনের আচরণকে ‘পিঠে ছুরি চালানো’র শামিল বলে উল্লেখ করেন।
কাদিরভ বলেন, চেচেন বাহিনী বিশৃঙ্খলাপূর্ণ অঞ্চলের দিকে এগিয়ে যাবে এবং তারা রুশ সেনাদের ও তাদের অঞ্চল রক্ষা করবে। কাদিরভ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি চেচেনিয়ায় বিশাল একটি সামরিক বাহিনী পরিচালনা করেন।
এর মধ্যে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর পাশাপাশি লড়াই করছে প্রায় ১০ হাজার সেনা। চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনের বাখমুত থেকে ওয়াগনার যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করা হলে সেখানে চেচেন যোদ্ধাদের মোতায়েন করা হয়। কাদিরভ জানিয়েছেন, ওয়াগনার বাহিনীকে ঠেকাতে রুশ বাহিনীর সহায়তায় এরই মধ্যে রওনা হয়েছে চেচেন যোদ্ধারা।
একুশে সংবাদ/স.ব.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :