জার্মানির লুবেক শহরের কাছে উদ্ধার হয়েছে ৪০০ বছরের পুরোনো একটি জাহাজ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উদ্ধারকৃত জাহাজ থেকে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা বাণিজ্য জাহাজটি থেকে উদ্ধারকৃত মূল্যবান সম্পদের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৬শ’ শতাব্দীর মানব সভ্যতার কিছু নিদর্শন পাওয়া গেছে।
উদ্ধারের প্রায় ১৮ মাস পর সতেরশো শতাব্দীর এই বাণিজ্যিক জাহাজটিতে পাওয়া সম্পদ প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রদর্শন করেন। জার্মানির উত্তারঞ্চলে উদ্ধারকৃত জাহাজগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম বাণিজ্যিক জাহাজ।
প্রকল্প প্রধান ফেলিক্স রয়েশ গত ৩ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আমরা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু পেয়েছি এবং এসব জিনিসপত্র থেকে অনেক নতুন তথ্য জানতে পারবো।
এই উদ্ধার অভিযানে পাওয়া গুপ্তধন পরিষ্কার করে নথিভুক্ত করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চীনামাটির বাসন, কারচুপির অংশ, ১৮০টি কাঠের টুকরো রয়েছে।
এই জাহাজে সে সময়কার দৈনন্দিন জীবন কেমন ছিল তার একটি ইঙ্গিত পাওয়া যায়, যা এই অনুসন্ধানটিকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। বাল্টিক সাগরে এর আগে বেশকিছু যুদ্ধ জাহাজ পাওয়া গেলেও এটিই প্রথম বাণিজ্য জাহাজ যা সে সময়কার বেসামরিক জীবন সম্পর্কে ধারণা দেয়।
পোর্সেলিনের টুকরোগুলোতে পাওয়া প্রাণীর হাড় থেকে ধারণা পাওয়া যায় বোর্ডে কী খাওয়া হয়েছিল। জাহাজ থেকে পাওয়া জিনিসগুলো এখন থ্রিডি স্ক্যান করার জন্য লুবেক শহরের একটি সংরক্ষণাগারে নিয়ে যাওয়া হবে।
২০২১ সালের নভেম্বরে জাহাজটিকে প্রথম জার্মানির উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বন্দরনগরী লুবেকের কাছে ট্রেভ নদীতে খুঁজে পাওয়া যায়। নদীর পানি পরিমাপের কাজের সময় পানি থেকে এগারো মিটার গভীরে ২৫ মিটার লম্বা এবং ৬ মিটার চওড়া জাহাজটির সন্ধান পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, জাহাজটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, কিন্তু পৌঁছাতে পারেনি। কাঠের টুকরোগুলোতে থাকা গভীর কালো দাগ থেকে বোঝা যায়, জাহাজটিতে অনেক বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পেছনে এই অগ্নিকাণ্ড দায়ী।
একুশে সংবাদ/স/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :