বিশ্বজুড়ে তীব্র খাদ্যসংকটে রয়েছেন অন্তত সাড়ে ৭৩ কোটি মানুষ। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসছে।বুধবার (১২ জুলাই) বাৎসরিক ‘স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ নামের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বৈশ্বিক খাদ্য ও কৃষি নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (ফাও)।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে বিশ্বে যত মানুষ তীব্র খাদ্যসংকটে ভুগতো করোনা মহামারির কারণে আরও ১২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্যসংকটে পড়ছে।
এ নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স। রয়টার্স বলছে, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ২০১৯ সালে জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলো আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছিল।
কিন্তু বর্তমানে বিশ্বে যে হারে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব তো নয়ই, উল্টো এই সময়সীমার মধ্যে আরও ৬০ কোটি মানুষ যোগ হবে।
ফাও’র শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো টোরেরো কালেন বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বিশ্বজুড়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, এটা খুবই খারাপ একটি সংবাদ।
জাতিসংঘের প্রতিবেদেন আরও বলা হয়, অভ্যন্তরীণ সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত নানা দুর্যোগের কারণে গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে কৃষি উৎপাদন ব্যহত হওয়া বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তার জন্য দিন দিন বড় ঝুঁকি তৈরি করছে।
বিশ্বের কিছু অংশে অবশ্য খাদ্য নিরাপত্তাগত পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার অনেক দেশের খাদ্য সংকট এখন নিয়ন্ত্রণে।
কিন্তু ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার দেশগুলোতে দিন দিন এই সংকট বাড়ছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :