বিশ্বের প্রথম তরল মিথেনচালিত রকেটের সফল উৎক্ষেপণ করেছে চীন। প্রথম চেষ্টায় ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয়বার সফল হয় রকেটটির নির্মাতা একটি বেসরকারি চীনা প্রতিষ্ঠান।
বহুদিন ধরেই কম খরচে পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযান তৈরির চেষ্টা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এ তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্স ও ব্লু-অরিজিনের মত প্রতিষ্ঠানও। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই খাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য না পেলেও এরই মধ্যে তরল মিথেন চালিত পুনঃব্যবহারযোগ্য মহাকাশযানের সফল উৎক্ষেপণ করেছে চীন।
বুধবার (১২ জুলাই) স্থানীয় সময় সকালে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিকুয়ান মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় ‘ঝুকিউ-টু’ মহাকাশযান। এটি তৈরি করেছে বেইজিংভিত্তিক বেসরকারি মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘ল্যান্ডস্পেস’।
এরমধ্য দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতিদ্বন্দ্বীদের পেছনে ফেলে পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশযান নির্মাণের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করল প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে গত বছর ডিসেম্বরে ‘ঝুকিউ-টু’ মহাকাশযান উৎক্ষেপণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় ‘ল্যান্ডস্পেস’।
জ্বালানি হিসেবে তরল মিথেন ব্যবহার করায় পুনঃব্যবহারযোগ্য এ রকেট তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, সাশ্রয়ী এবং এতে কম পরিবেশ দূষণ হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আর ‘ঝুকিউ-টু’ তৈরিতে কম কার্বন ব্যবহার করায় অনেকবার ব্যবহার করা যাবে এটি।
ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক মহাকাশযানের জ্বালানি হিসেবে তরল অক্সিজেন ও মিথেনের মিশ্রণের অনেক সুবিধা আছে। এটি চীনা মহাকাশ শিল্পে অনেক বড় একটি সংযোজন। এর মধ্যদিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের মহাকাশযান তৈরিতে চীন অনেকদূর এগিয়ে গেলো।
এছাড়া, বুধবার ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে মনুষ্যবাহী মহাকাশযান পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চাঁদে দুটি মহাকাশযান পাঠাবে তারা। যার একটিতে বহন করা হবে চীনা নভোচারীদের। এর আগে, ২০২০ সালে রোবোটিক যানের সাহায্যে চাঁদের মাটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দেশটি।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :