বিশ্বের দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রীদের একজন হচ্ছেন কম্বোডিয়ার হুন সেন। সম্প্রতি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। অবশেষে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ছেলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন হুন সেন।
বুধবার (২৬ জুলাই) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি বিশেষ সম্প্রচারে হুন সেন এ ঘোষণা দেন।
৭০ বছর বয়সি হুন সেন ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়া শাসন করছেন। এই দীর্ঘ সময়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য তিনি কর্তৃত্ববাদী শাসন চালান। এর জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে বিতর্কিত ও সমালোচিত হয়েছেন।
তিনি ২০২০ সালে প্রথম তার বড় ছেলে হুন মানেটের কাছে ক্ষমতা পরিবর্তনের পতাকা তুলেছিলেন। তবে বুধবার পর্যন্ত, পর্যবেক্ষকরা নিশ্চিত ছিলেন না যে ঠিক কখন এই ক্ষমতা হস্তান্তর হবে।
হুন সেন বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাব না। তার পদে থাকা রাষ্ট্রে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে, এ জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।’
হুন সেনের ছেলে হুন ম্যানেট কম্বোডিয়ান সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশটির ক্ষমতা নেওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, হুন সেনের ছেলে হান ম্যানেট (পড়ালেখা করেছেন পশ্চিমা দেশে) ক্ষমতা নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। হান ম্যানলেট হুন সেনের তিন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তিনি কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর প্রধান।
হুন সেনের অন্য দুই ছেলেও পার্টি ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। তবে হুন সেনের ছেলে ক্ষমতায় এলে যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে, তা মনে করেন না অনেক বিশেষজ্ঞ।
অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বৈরশাসক বিশেষজ্ঞ লি মরগেনবেসার বলছিলেন, ‘কোনো গাছের ফল সেই গাছ থেকে খুব একটা দূরে গিয়ে পড়ে না। পরিবারতন্ত্রের অন্যান্য উদাহরণ পর্যালোচনা করলে আমরা সে রকমই দেখতে পাই। আর হুন সেন যে কবে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবেন, সে বিষয়েই আসলে কারও ধারণা নেই।’
একুশে সংবাদ/জ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :