ব্রিকস সম্মেলনে মোদি-শি বৈঠক নিয়ে গুঞ্জন

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) থেকে শুরু হল ১৫তম ব্রিকস সম্মেলন। সম্মেলনে ব্রিকসভুক্ত উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচ দেশ ছাড়াও যোগ দেবেন কয়েক ডজন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা। ইতিমধ্যে ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকার পথে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, এবারের ব্রিকস সম্মেলনে মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনার কথা।

তবে মোদী-জিনপিং বৈঠকের জল্পনার বাস্তবতা কত? এমন প্রশ্নে ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কোওয়াটরাক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সূচি চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি এগোচ্ছে। তার এহেন মন্তব্যে জল্পনা আরও দৃঢ় হয়েছে। তবে স্পষ্ট কোনও ধারণা এখনও মেলেনি।

এর আগে গতবছর নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের নৈশভোজের সময় ক্ষণিকের জন্য মুখোমুখি হয়ে কিছু বার্তা বিনিময় হয়েছিল মোদি ও শি।

বাণিজ্যের স্বার্থে চীন বরাবর দাবি করেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক।  তবে ভারত নিজেদের অবস্থানে অনড়। মোদি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর বারবার বলেছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতি সম্ভব নয়।

আর এই আবহে গত তিন বছরে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি ভারত ও চীনের দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। তবে জল্পনা শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলা আসন্ন ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন মোদী ও জিনপিং।

৩ বছর আগে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনা সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর থেকে বেশ কয়েক দফায় সেনা পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে সীমান্তে। তবে তাতে কোনও সমাধান বেরিয়ে আসেনি।

একাধিক চীনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত। চীনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির কর ফাঁকির বিষয়ে কড়া অবস্থান ভারত সরকারের।

একুশে সংবাদ.কম/এসএপি