AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভারত-কানাডা ইস্যুতে কোন দিকে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের?


Ekushey Sangbad
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১২:২৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
ভারত-কানাডা ইস্যুতে কোন দিকে অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের?

কানাডায় হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডের পর ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে। কার পক্ষে নিবে তারা। এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের সাবেক কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন।

 

তিনি বলেন, কানাডা ও ভারতের মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হলে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকেই বেছে নেবে। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 

ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিন জানান, ‘কৌশলগতভাবে আমেরিকার কাছে ভারত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নয়াদিল্লির সঙ্গে অটোয়ার এই দ্বন্দ্ব হাতির বিরুদ্ধে পিঁপড়ার লড়াইয়ের শামিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বড় ভুল করেছেন। তিনি এমনভাবে অভিযোগগুলো করেছেন যে তার আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তিনি কোনো কিছু না ভেবেচিন্তেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলছেন।

 

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী পদে ট্রুডো আর বেশিদিন থাকবেন না। তাই নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্র কানাডার সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করতে পারবে। তবে কানাডা সরকার কেন এক সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিচ্ছিল, তা নিয়ে ট্রুডোর ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন।

 

রুবিন জানান, ‘যুক্তরাষ্ট্র দুই বন্ধুর মধ্যে একজনকে বেছে নিতে চায় না। তবে যদি দুই বন্ধু দেশের মধ্যে একটি দেশকে বেছে নিতেই হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে ভারতকে বেছে নেবে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, নিজ্জার একজন সন্ত্রাসী ছিলেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ভারত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

 

এর আগে গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কানাডাকে ভারত সহায়তা করবে এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন।

 

ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও কানাডা উভয় দেশের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছে। আমরা জবাবদিহি দেখতে চাই। তদন্তকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিতে এবং একটি ফলাফলে পৌঁছানোর জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

 

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, হারদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব নিরসনে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে ভারতকে বিশেষ কোনো ছাড় যুক্তরাষ্ট্র দেবে না।

 

কানাডা-ভারত দ্বন্দ্ব নয়াদিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে জ্যাক সুলিভান বলেন, ‘কোন দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলো, তা বিবেচনার বিষয় নয়। যুক্তরাষ্ট্র তার নীতিতে অটল থাকবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বিষয়টিকে আমরা যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং করতে থাকব। এখানে কোনো দেশকে বিশেষভাবে বিবেচনায় নেয়া হবে না।’

 

গত ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে গুরুদুয়ারার সামনে খুন হন হরদীপ সিং। ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এক বক্তব্যের পর অটোয়া ও দিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়।

 

একুশে সংবাদ/স.চ.প্র/জাহা

Link copied!