মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের (পিএনএস) মোহামেদ মুইজ্জু দ্বিতীয় দফার ভোটে জয়ী হয়েছেন। রাজধানী মালের মেয়র মোহামেদ মুইজ্জু ‘ভারতবিরোধী’ হিসেবে পরিচিত। ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশটির বিরোধী দল প্রগ্রেসিভ পার্টি অব দ্য মালদ্বীপের (পিপিএম) নেতৃত্বাধীন জোট থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ভোটের ফল গণনা শেষে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও মালদ্বীপ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ এক্সের (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় মুইজ্জুকে অভিবাদন জানিয়ে নিজের পরাজয় স্বীকার করেছেন।
পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মোহামেদ মুইজ্জু এ জয়ে চীন ও ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ নির্বাচন তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
মুইজ্জু নির্বাচনে জয়লাভ করার পরপরই দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিনের মুক্তি দাবি জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে এ দাবি জানান তিনি। আব্দুল্লা ইয়ামিন দুর্নীতি মামলায় ১১ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
মোহামেদ মুইজ্জু নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, প্রেসিডেন্ট হতে পারলে মালদ্বীপে ভারতের প্রভাব কমাবেন। এ ছাড়া দেশটিতে যে অল্প সংখ্যক ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে তাদের বের করে দেবেন তিনি।
প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ও মোহামেদ মুইজ্জুর মধ্যে শনিবার দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়। এ ভোটে ৫৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মুইজ্জু। আগামী ১৭ নভেম্বর মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মুইজ্জু দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
কে এই মুইজ্জু: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু রাজধানী মালের বর্তমান মেয়র। তার জন্ম ১৯৭৮ সালের ১৫ জুন। তিনি যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিন সন্তানের বাবা মুইজ্জু ২০১২ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পুলিশ ও সামরিক বিদ্রোহের পর মালদ্বীপের প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার পতনের পর গঠিত ঐক্য সরকারের আবাসনমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :