উত্তর আফ্রিকায় মুসলিম রাষ্ট্র লিবিয়ার শরিয়া রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজ কাউন্সিল ‘লিঙ্গ’ শব্দ ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লিবিয়ার ফতোয়া বিভাগ এটিকে ‘হারাম’ বলে অবহিত করায় কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত নেয়।
লিবিয়া ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য লিবিয়া অবজার্ভারের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) লিবিয়ার শরিয়া রিসার্চ অ্যান্ড স্টাডিজ কাউন্সিল এ ঘোষণা দিয়েছে।
কাউন্সিল বলছে, ‘লিঙ্গ’ শব্দটির সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিবেদনগুলি পর্যালোচনা করার পর এটির ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কারণ এতে এমন অর্থ রয়েছে, যা সাধারণ মানব প্রকৃতি ও ইসলামি আইনের বিধানের বিরোধিতা করে। যেমন, লিঙ্গ বিকৃতি, সমকামিতা, ব্যভিচার, গর্ভপাত, বিবাহ বাতিল, বিবাহ বিচ্ছেদ ও উত্তরাধিকার আইন ইত্যাদী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এ লিঙ্গ শব্দ ব্যবহারে আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করার আহ্বান জানানো হয়।
সিদ্ধান্তটি লিবিয়া সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে, সরকারি দফতর ও অফিসিয়াল নথিতে পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে। কেউ আইন লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
কাউন্সিলের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শিক্ষা, তথ্য, বিচার বিভাগ ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিনের সব তথ্যতে যেনো লিঙ্গ শব্দের ব্যবহার পরিহার ও পরিবর্তন করা হয়। বলা হয় যেনো লিঙ্গ শব্দ উল্লেখ না করে শুধু পুরুষ বা নারী ব্যবহার করে।
লিবিয়া উত্তর আফ্রিকায় ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ তীরে অবস্থিত একটি ইসলামি রাষ্ট্র। লিবিয়ার উত্তরে ভূমধ্যসাগর, পূর্বে মিশর, দক্ষিণ-পূর্বে সুদান, দক্ষিণে চাদ ও নাইজার, এবং পশ্চিমে আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়া অবস্থিত। ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত ত্রিপোলি শহর লিবিয়ার বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। লিবিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্রগুলির একটি। আকারে বিশাল হলেও লিবিয়াতে জনবসতি খুবই কম। তাদের অধিকাংশ আইন শরিয়াহ মোতাবেক ফতোয়া বিভাগের মাধ্যমে ঘোষিত হয়।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :