১৯০১ সাল থেকে গেল বছর (২০২২ সাল) অবধি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে ১০৩ বার। এর মধ্যে ১৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে এ পুরস্কার। প্রতিবছর এ পুরস্কারের তালিকা করে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট। নোবেল কমিটির পাঁচ সদস্য ঠিক করেন কে বা কারা শান্তিতে নোবেল পাবেন। গত বছর বেলারুশের মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী অ্যালেস বিলিয়াটস্কিসহ দুটি মানবাধিকার সংস্থা - দ্য রাশিয়ান গ্রুপ অব মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনস সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ শান্তিতে নোবেল পান।
এদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ নোবেল পুরস্কার ঘোষণার পঞ্চম দিনে আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। কে বা কোন প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে এবার শান্তিতে নোবেল?
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন জরিপ প্রতিষ্ঠান জানাচ্ছে, এবার এ পুরস্কারের জন্য আলোচিত হচ্ছে প্রায় সাড়ে তিনশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম। এর মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও (আইসিসি) আছে।
বেটিং সাইট নিকারঅডস-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, এবারের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় প্রথমেই আছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক প্রতিরোধের নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তার নাম আলোচনায় রয়েছে। পুতিন বিরোধী রুশ নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির নামও আলোচনায় এসেছে।
২০২৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আলোচনায় আরও আছে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা দুই নেত্রীর নামও। একজন ইরানের নার্গেস মোহাম্মদি, অপরজন আফগানিস্তানের মাহবুবা সেরাজ।
এর পাশাপাশি উইঘুরের মুসলিম নির্যাতন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা মানবাধিকার কর্মী, ইলহাম তোহতির নামও এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য উচ্চারিত হচ্ছে জোরেশোরে। এছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান ড্যান স্মিথ, সুইডিশ অ্যাক্টিভিস্ট গ্রেটা থুনবার্গ এবং ব্রাজিলের আদিবাসী প্রধান রাওনি মেটুকটায়ারের নামও উঠে এসেছে এ তালিকায়।
এছাড়াও ফিলিপাইনে জন্মগ্রহণকারী আদিবাসী অধিকার কর্মী ভিক্টোরিয়া তাউলি-কর্পুজ এবং ইকুয়েডরের আদিবাসী নেতা হুয়ান কার্লোস জিনতিয়াচের নামও রয়েছে এ তালিকায়। সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :