শনিবার সকালে হঠাৎই ইসরায়েলে হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। জবাবে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েলি সেনারা। পাল্টাপাল্টি এ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯০০ জনে দাঁড়িয়েছে। আর গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৭০০ ছুঁইছুঁই।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ বিষয়ে শেষ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েল। শুধু তাই নয়, বহু ইসরায়েলিকে হামাস বন্দি করেছে বলেও জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হামাসের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরায়েল।
জানা গেছে, গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট জানিয়েছেন, গাজার বিদ্যুৎসংযোগ কেটে দেওয়ার পাশাপাশি সেখানে খাদ্য ও জ্বালানি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাতে বিবিসি জানায়, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৪০ শিশু ও ১০৫ নারীসহ প্রায় ৬৯০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
২০০৭ সাল থেকেই বায়ু, স্থল ও সমুদ্র তিন দিক থেকেই অবরোধের অধীনে রয়েছে গাজা। হামাসের হামলার পর থেকে গাজার ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা পানি, বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি ওষুধের অভাব ও অস্ত্রোপচারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলা মোকাবিলায় তিন লাখ রিজার্ভ সেনা ডেকেছে ইসরায়েল। সোমবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র হাগারি এ ঘোষণা দেন। এর আগে এক লাখ রিজার্ভ সেনা ডাকার কথা জানা গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় তা তিন লাখে উন্নীত করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি সাংবাদিকদের বলেছেন, সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইসরায়েলের। তিনি বলেন, সোমবার সকালে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এই পর্যায়ে সেখানকার সম্প্রদায়ের মাঝে কোনও ধরনের সংঘাত হচ্ছে না। তবে এখনও ওই অঞ্চলে হামাসের যোদ্ধারা থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :