গত শনিবার থেকে পাল্টাপাল্টি হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন। গাজার আল ফুরকান পাড়ায় হামাসের ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। আজ বুধবার সকালে এ হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফের বাবার বাড়িও ছিল। টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চৎ করেছেন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী (আইডিএফ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, তারা গতকাল তৃতীয়বারের মতো এই এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এ নিয়ে ৪৫০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানল ইসরায়েলের বিমান বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। পরে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল বাহিনী। সেই সংঘাতের আজ পঞ্চম দিন।
আইডিএফ জানিয়েছে, গত পাঁচ দিনের পাল্টাপাল্টি হামলায় ১ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত ও ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। এখনও নিখোঁজ অথবা হামাসের হাতে বন্দী রয়েছেন ৫০ জন। অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৪ হাজার ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ১৪০ জন শিশু ও ১২০ জন নারী রয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের পরাজয় না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া টেলিভিশন বক্তৃতায় তিনি বলেন, `আমরা যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছি। অথচ আমরা এ যুদ্ধ চাইনি। এটি আমাদের ওপর সবচেয়ে নৃশংসভাবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ইসরায়েল এ যুদ্ধ শুরু না করলেও অবশ্যই শেষ দেখে ছাড়বে।`
গাজায় প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করে। ২০০৭ সাল থেকেই গাজার আকাশ, স্থল ও সমুদ্র অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। তাই, মূলত আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল সেখানকার বাসিন্দারা।
একুশে সংবাদ/ব.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :