ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাস্সাম ব্রিগেড যে ইসলামি আদর্শ ও নীতিমালা মেনে যুদ্ধ করছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে একটি ভিডিও থেকে। হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যখন ইসরাইলি ও পশ্চিমা মিডিয়া ব্যাপক অপপ্রচার চালাচ্ছে তখন একটি ভিডিও থেকেই ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মানবিকতা ফুটে উঠেছে।
দখলদার ইসরাইল ও পশ্চিমারা মিলে এ পর্যন্ত বহু ভিডিও তৈরি করেছে যাতে হামাস যোদ্ধাদেরকে অমানবিক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এর সবই বানোয়াট ও মিথ্যাচার।
হামাসের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, এক ইসরাইলি নারী ও তার দুই শিশু সন্তানকে মুক্ত ইসরাইলি সীমান্তে মুক্ত করা হচ্ছে যাতে তারা তাদের উপশহরে চলে যেতে পারে।
ধারণা করা হচ্ছে, গত শনিবার ইসরাইলে হামাসের ব্যাপক হামলার পর কোনো এক সময় তাদের আটক করা হয়েছিল। শিশু হওয়ার কারণে এবং শিশুদের মা হওয়ার কারণে তাদেরকে মুক্ত করা হচ্ছে। এ ধরণের বহু ঘটনাই ঘটেছে কিন্তু এমন একটি ঘটনার রেকর্ড পাওয়া গেছে।
হামাসের বিরুদ্ধে পশ্চিমারা বানোয়াট নানা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযোগ করছে যে, তারা ইসরাইলি নারী–শিশুদের নির্বিচার আটক করেছে। হামাসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
আল–জাজিরার হাতে আসা ভিডিওটি দূর থেকে ধারণ করা। এতে অজ্ঞাত এক নারী ও দুই শিশুকে একটি বেড়ার পাশে রেখে আসেন এক ব্যক্তি। কাস্সাম ব্রিগেড এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, ওই নারী ইসরাইলি নাগরিক। সেই সঙ্গে তিনি ইসরাইলের অবৈধ বসতি স্থাপনকারী। অভিযানের দুই শিশু সন্তানসহ তাকে আটক করা হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
হামাস যোদ্ধাদের মানবিক আচরণের কথা এর আগে ইসরাইলের কয়েক জন সাংবাদিকও স্বীকার করেছেন। ইসরাইলের টিভি চ্যানেল টুয়েলভ-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ইসরাইলি সাংবাদিক উরিন যিফ এবং একজন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী তাদের সঙ্গে হামাস যোদ্ধাদের মানবিক আচরণের বর্ণনা দিয়েছেন। তাদের ভাষায়, হামাস যোদ্ধারা কোনো খারাপ আচরণ করেননি। সূত্র : পার্সটুডে
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :