গাজার কিছু শহর ইসরায়েলি হামলায় পুরো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে একটি খান ইউনিস। বাসিন্দাদের দাবি, নির্বিচার গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। আশ্রয় কেন্দ্র এমনকি উদ্ধার অভিযানের সময়ও চালানো হচ্ছে বিমান হামলা। গাজায় কোথাও কোনো নিরাপদ জায়গা নেই বলে জানান বাসিন্দারা। এদিকে খাবার-পানি-বিদ্যুৎ সংকটে ভয়াবহ মানবেতর জীবন পার করছেন তাঁরা।
গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের বাসিন্দা নাঈম আবু ইদ। ইসরায়েলের বিমান হামলা থেকে বাঁচতে পরিবার ও সন্তান নিয়ে এখন তার ঠাঁই হয়েছে একটি স্কুলে। কোথাও নিরাপদ নয় জানিয়ে নাঈম জানান, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার আশ্রয় কেন্দ্র থেকে স্কুলটিতে আশ্রয় নিতে হয় তাঁকে। গাজার এ বাসিন্দা বলেন, `বিমান হামলার ভয়ে খান ইউনিসের পশ্চিম অংশে আসি। সীমান্তের কাছে জাতিসংঘের শরণার্থী শিবির থেকে এই স্কুলে এসেছি। শিশুরা অনেক ভয়ে আছে। এখানে এসেও তারা ঘুমাতে পারছে না।`
ইসরায়েলের বিমান হামলা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না উদ্ধারকারী দলও। জাবালিয়া শহরে, উদ্ধারের সময় রাতের অন্ধকারেই একের পর এক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পুরো শহর। গাজার হাসপাতালে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। তবে পর্যাপ্ত ওষুধ ও সরঞ্জাম না থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশু থেকে বয়স্ক সব গাজাবাসীর এখন একটাই দাবি যুদ্ধ বন্ধ হোক। এদিকে অবরুদ্ধ গাজায় নেই খাবার, পানি, বিদ্যুৎ। মানবিক বিপর্যয়ে বাসিন্দারা। কোথাও খাবার সরবরাহ হচ্ছে জানলেই, ছুটে যাচ্ছেন সেখানে।লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েও মিলছে না খাবার।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, `এখানে পানি নেই, খাদ্য নেই । পরিস্থিতি খুব কঠিন। সামান্য খাবারের জন্য ঘণ্টা দুয়েক লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। বেকারিতেও আর ময়দা নেই। আগামীকাল কি হবে জানি না।`
৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে গাজায় চলছে ইসরায়েলের হামলা। ইসরায়েল জানায়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গাজায় ৬ হাজার বোমা ফেলেছে তারা। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গাজায় নিহতদের ৬০ শতাংশই নারী ও শিশু।
একুশে সংবাদ/এসআর
আপনার মতামত লিখুন :