মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। এরইমধ্যে আবার আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নারী ও শিশুসহ ৭১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর আলজাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার দক্ষিণ অংশের একটি ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলার পর প্রাথমিকভাবে ২৫ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও পরে এটি বেড়ে ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১৬ অক্টোবর) গাজায় বিমান হামলা বন্ধের কথা জানিয়েছিল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তারা। তবে সেসময় স্থায়ীভাবে গাজায় বিমান হামলা বন্ধ করা হয়েছে কি না, তা বলা হয়নি। এরপর আবারও বিমান হামলা করা হলো।
এদিকে গাজার খান ইউনিস ও রাফাহ এলাকায় অবিরাম বোমা হামলার খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েকশ মানুষ আহত হয়েছেন। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলেও ইসরায়েলের ভারী গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। তারা এই অভিযানের নাম দেয় ‘আল-আকসা স্টর্ম’। এই হামলার পরপরই গাজা উপত্যকায় পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইলের সেনাবাহিনী। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
হামাস ও ইসরাইলের চলমান সংঘাতের আজ ১১তম দিন। এখনও গাজায় বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরাইল। এছাড়া তারা এখন গাজায় স্থল ও সমুদ্রপথে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সংঘাতের কারণে গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্কস এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইন রিফিউজিস ইন দ্য নিয়ার ইস্ট।
অন্যদিকে এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১,৪০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। ইসরাইলের গত ৫০ বছরে ইতিহাসে এই প্রথম কোনও হামলায় এত ইসরাইলি মারা গেল।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :